মিলিত বোথাম, ইমরান, হ্যাডলির চেয়েও ভালো অ্যাথলেট ছিলেন কপিল!

কপিল দেবখেলোয়াড়ি জীবন থেকেই কপিল দেব তার সময়ের অন্য তিন কিংবদন্তি অলরাউন্ডারের সঙ্গে তুলনা শুনে এনেছেন। ইয়ান বোথাম, ইমরান খান ও রিচার্ড হ্যাডলির সঙ্গে তাকে তুলনার পাল্লায় উঠতে হয়েছে বারবার, অজস্রবার। এই চার ক্রিকেট তারকা সর্বকালের অন্যতম সেরা হিসেবে কেন বিবেচিত হন সেটা তাদের পরিসংখ্যানের দিকে একটু চোখ বুলোলেই স্পষ্ট হয়।

চারজনের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ রিচার্ড হ্যাডলি। বয়স অনুযায়ী পরের ক্রমটা এরকম- ইমরান খান, ইয়ান বোথাম ও কপিল দেব। ১৯৮০’র দশকে বিশ্ব ক্রিকেট এই চারজনের নাম উচ্চারণ করতো একইসঙ্গে। এদের মধ্যে কে সেরা এ নিয়ে আজও তর্ক চলে। ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় অধিনায়ক নিজেকে কখনোই শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করেন না। তবে সম্প্রতি ভারতীয় ওপেনার ডব্লিউ ভি রমনের সঙ্গে আলাপচারিতায় এই অলরাউন্ডার মনের জানালা খুলে দিয়েছেন। যেখানে কেউ কেউ খোঁজ পেতে পারেন তার অন্তর্গত বেদনার চোরাস্রোতের কিংবা সংক্ষুব্ধ এক মনের। কপিল নিজেকে এই চার অলরাউন্ডারের মধ্যে নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে না করলেও একটা জায়গায় অনেক এগিয়ে থাকতে দেখেন। তার বিশ্বাস অ্যাথলেট হিসেবে বোথাম, হ্যাডলি ও ইমরান মিলিয়েও তার সমান ছিলেন না।২২ গজে ব্যাট হাতে কপিল

‘আমি বলতে পারি না যে আমিই শ্রেষ্ঠ ছিলাম, কিন্তু অ্যাথলেট হিসেবে তাদের তিনজনকে এক করলে যা হতো, তার চেয়েও আমি ভালো ছিলাম’-ডব্লিউ ভি রমনের পডকাস্ট ইনসাইড আউটে বলেছেন কপিল দেব। তার মতে, ‘আমাদের চারজনের মধ্যে সেরা বোলিং ছিল রিচার্ড হ্যাডলির। তিনি ছিলেন কম্পিউটারের মতো নিখুঁত।’ কপিলের চোখে পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী ইমরান তার দেখা সবচেয়ে পরিশ্রমী ক্রিকেটার, ‘এটা বলা যাবে না যে ইমরান খান ছিলেন সবচেয়ে সেরা অ্যাথলেট বা সবচেয়ে সহজাত প্রতিভা। কিন্তু আমি যা দেখেছি, তিনি সবচেয়ে পরিশ্রমী খেলোয়াড়। যখন তিনি শুরু করেন, তাকে খুবই সাধারণ মানের মনে হয়েছিল, কিন্তু পরিশ্রম করেই দুর্দান্ত ফাস্ট বোলার হয়ে ওঠেন। তিনি নিজে নিজেই শিখেছেন। ব্যাটিংয়ের জন্যেও অনেক পরিশ্রম করেছেন তিনি।’

ইংলিশ তারকা ইয়ান বোথামকেই ‘সত্যিকারের অলরাউন্ডার’ মানেন ৬১ বছর বয়সী কপিল, ‘ইয়ান বোথাম ছিলেন সত্যিকারের অলরাউন্ডার। যেকোনও কন্ডিশনেই একাই ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা ছিল তার। তবে হ্যাডলিকে আমি কোনভাবেই সেরা ব্যাটসম্যান বলতে পারি না।’

ভারতের হয়ে ৩৫৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন কপিল। ৬৮৭ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৯,০৩১ রান করেছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। বিতর্কহীনভাবে ভারতের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘বোথাম প্রতিপক্ষকে ব্যাটিং কিংবা বোলিং দুভাবেই ধসিয়ে দিতে পারতো। ইমরানও প্রতিপক্ষকে শেষ করে দিতে পারতেন। তবে নেতা হিসেবে তিনি এগিয়ে ছিলেন অনেকটা। পাকিস্তান দলটিকে নিয়ন্ত্রণ করার তার চ্যালেঞ্জ তাকে নিতে হয়েছে।’