নাপোলিকে হারিয়ে শেষ আটে বার্সা, জিতেছে বায়ার্নও

একটি গোল করেছেন মেসি। চ্যাম্পিয়নস লিগে ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনার ম্যাচ মানেই তাদের আধিপত্য। আগের পরিসংখ্যান তেমনই তথ্য দেয়। টানা ৩৫ ম্যাচে অপরাজিত বার্সা। তাই শেষ ষোলোতে তাদের হারাতে হলে সেরাটাই দিতে হতো নাপোলিকে। কিন্তু ন্যু ক্যাম্প তাদের সামনে দুর্গই থেকে গেলো দ্বিতীয় লেগে। নাপোলিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টানা ১৩তম কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কিকে সেতিয়েনের দল।

ফেব্রুয়ারির প্রথম লেগটি অবশ্য শেষ হয়েছিল সমতায়, ১-১ গোলে। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে কোনও ভুল হয়নি কাতালান ক্লাবটির। দুই লেগ মিলে বার্সা শেষ আট নিশ্চিত করেছে ৪-২ অগ্রগামিতায়।

শুরুতে নাপোলি আক্রমণ হানলেও ম্যাচের দশম মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় বার্সা। ইভান রাকিতিচের কর্নারে হেড করে গোলটি করেন লংলে। ২৩ মিনিটে দারুণ এক গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন আর্জেন্টাইন তারকা মেসি। জটলার মাঝে বল নিয়ে পড়েও গিয়েছিলেন। তার পরেও কোনাকুনি শটে জাল কাঁপাতে ভুল হয়নি তার।

কিছুক্ষণ পর ৩০ মিনিটে আরেকটি গোলও পেয়ে গিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারির কল্যাণে সেটি হ্যান্ড বল হওয়ায় বাতিল করা হয়ে যায় তা। বল বুক দিয়ে নামানোর সময় তার হাত স্পর্শ করেছিল। তবে তৃতীয় গোলটি পেনাল্টির মাধ্যমেই পেয়েছে বার্সা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে কাউলিবালি মেসিকে ফাউল করলে স্পট কিক থেকে গোল করেন সুয়ারেস।

তবে এই অর্ধের যোগ করা পঞ্চম মিনিটে একটি গোল শোধ দেয় নাপোলি। মার্টেন্সের ওপর ফাউল করে বসেন রাকিতিচ। পরে স্পট কিক থেকে গোল করেন লরেনসো। দ্বিতীয়ার্ধে নাপোলি বেশ কিছু চেষ্টা করলেও ব্যবধানে আর হেরফের করতে পারেনি।

অপর ম্যাচে চেলসিকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। দুই লেগ মিলে ৭-১ অগ্রগামিতায় জয় পেয়ে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে বার্সার।

আলিয়াঞ্জ এরেনায় বায়ার্ন খেলতে নেমে প্রথমার্ধেই আধিপত্য বিস্তার করেছে। প্রথম লেগ ৩-০ তে জয়ের পর দ্বিতীয় লেগে ১০ মিনিটেই দেখা পেয়ে যায় প্রথম গোলের। লেভানদোভস্কিকে ডি বক্সে ফেলে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ গোলকিপার। সেই সুবাদে স্পট কিক থেকে গোল করেন পোলিশ এই স্ট্রাইকার। ২৪ মিনিটে স্কোর ২-০ করেন পেরিসিচ। ৪৪ মিনিটে ট্যামি আব্রাহাম একটি গোল শোধ দিয়েও চেলসি আর সুবিধা করতে পারেনি। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি গোল করেছে বায়ার্ন। ৭৬ মিনিটে তোলিসো ও ৮৩ মিনিটে নিজের জোড়া গোলটি করেন লেভানদোভস্কি।