বন্যাদুর্গত ৩০০ পরিবারের পাশে মুশফিকের ফাউন্ডেশন

বন্যাদুর্গত ৩০০ পরিবারের পাশে মুশফিকের ফাউন্ডেশন।দেশের সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়াতেই মুশফিকুর রহিম প্রতিষ্ঠা করেছেন এমআর ফিফটিন ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের ব্যানারে প্রথমবারের মতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। বন্যাদুর্গত ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে যাত্রা শুরু করেছে মুশফিকের স্বপ্নের এই ফাউন্ডেশন।

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে মুশফিকুর রহিম তার অফিসিয়াল ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যতদূর চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। দিগন্তে সবুজের হাতছানি। ভরাট যৌবনা নদীর বুক চিরে এগিয়ে চলা পালতোলা নৌকা আর মাছরাঙার জলকেলি। দর্শনার্থীদের জন্যে চোখ ঝলসানো সৌন্দর্য্য আর নদীর দুপাশে বসবাসরত মানুষের জন্যে মূর্তিমান আতঙ্ক। একে তো করোনার ছোবল, তার ওপর বন্যার নির্যাতন। স্বাভাবিক জীবনে হঠাৎ ছন্দপতন। সমস্ত ফসল, বসতবাড়ি পানির নিচে, ভয়ালদর্শন স্রোতে গ্রামের অনেকখানি নদীগর্ভে।’

তাই এসব অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফোটানো নিজের দায়িত্ব বলেই মনে করেন মুশফিক, ‘চিরকাল খেটে খাওয়া মানুষগুলো আজ বড্ড অসহায়। নিয়তি মেনে নেওয়া সজল চোখে, আজ শুধুই সাহায্যের আকুতি। সব খবর জেনে সিদ্ধান্ত নেই, এই মানুষগুলোর কাছে আমার, সামান্য সম্মান মোড়ানো ভালোবাসা পৌঁছাতেই হবে। এটা আমার দায়িত্ব। এরপরের গল্পটা, শুধুই মুখে হাসি ফোটানোর গল্প। আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায়, গত দুইদিন আগে বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার বোহাইল ইউনিয়নের অন্তর্গত বোহাইল গ্রাম ও ধারাভার্ষা চরে বন্যাদুর্গত ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে আমার স্বপ্নের মুশফিকুর রহিম ফাউন্ডেশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। ’

মুশফিকের ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণের যাবতীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বগুড়া ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকরা। তাদের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।