চার বিদেশিই চায় ক্লাবগুলো

বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে অজস্র বিদেশির তিনজননতুন মৌসুমে বিদেশি ফুটবলারদের অংশগ্রহণ থাকবে কি না, থাকলে সংখ্যাটা কতো হতে পারে- এ নিয়ে ক্লাবগুলোর কাছে লিখিত আকারে মতামত চেয়েছিল বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটি। অধিকাংশ ক্লাবই বিদেশি সায় দিয়েছে খেলোয়াড়ের পক্ষে। বৃহস্পতিবারের লিগ কমিটির সভায় বিদেশি খেলোয়াড় রাখার পক্ষেই সিদ্ধান্ত এসেছে। তবে আগের নিয়মে একটু পরিবর্তন এসেছে। আগে প্রতিটা ক্লাব নিবন্ধন করতে পারতো পাঁচ বিদেশি ফুটবলার। প্রথম একাদশে খেলতে পারতো চারজন, আবার বিদেশির বদলে বিদেশি ফুটবলার নামানো যেত। সেখানে এখন নিবন্ধন হবে চারজন। একাদশে এই চারজনই খেলতে পারবে।

লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী সভা শেষে বলেছেন,‘বিদেশি খেলোয়াড়ের বিষয়ে ক্লাবগুলোর লিখিত মতামত পেয়েছি। ১৩টি ক্লাবের মধ্যে সিংহভাগ ক্লাব মত দিয়েছে বিদেশি রাখার ব্যাপারে। দুটি ক্লাব মতামত দেয়নি। একটি ক্লাব আজকের সভায় এসে মতামত দিয়েছে। গতবার বাইলজে ছিল পাঁচ জন নিবন্ধনের, চারজন খেলতে পেরেছে। এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে চার জন নিবন্ধনের। প্রতি ম্যাচে চারজনই খেলার সুযোগ পাবে।’

আবাহনী লিমিটেডের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রুপু্ এমন সিদ্ধান্তের পর বাংলা ট্রিবিউনকে প্রতিক্রিয়া বলেছেন,‘একজন বিদেশি বেশি এনে এই মুহুর্তে কী লাভ! শুধু শুধু ডলার খরচ। গতবার তো ওরা বেশি ম্যাচ খেলতে পারেনি। আগামী মৌসুমে মনে করি চারজনই ঠিক আছে।’

রহমতগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ আগেই বলেছেন,‘বিদেশি ফুটবলার না থাকলে অনেক ক্লাবের দল গঠন করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই বিদেশি থাকাটাই যুক্তিসঙ্গত।’

তবে শেখ জামালের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন চুন্নু আগের নিয়মের পক্ষে ছিলেন,‘আমাদের ক্লাব থেকে আগের বাইলজ ফলো করার কথা বলেছিলাম। এখন পাঁচ বিদেশির জায়গায় একজনের নিবন্ধন কমলে কী বলার আছে।’

আগামী ৩ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচন। তার আগেই বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভা হতে পারে। সেখানে আজকের সিদ্ধান্তগুলোর অনুমোদন হওয়ার কথা। তা না হলে নির্বাচনের পরে নতুন কমিটি এসে অনুমোদন দেবে। আগে বা পরে যে সভাই হোক না কেন, লিগ কমিটির সিদ্ধান্তগুলোর দু’একটি বদলেও যেতে পারে।