গত আইপিএলের ‘ফাইনালের পুনরাবৃত্তি’ দিয়ে শুরু এবারের আইপিএলের। কিন্তু শনিবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ফলের পুনরাবৃত্তি হয়নি। ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ৫ উইকেটে হারতে হয়েছে রোহিত শর্মার চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে।
মুম্বাই ম্যাচ থেকে মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়ে বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ১৬২ রানের বেশি করতে না পারায়। পাওয়ার প্লে-তে ৫১ রান তোলে রোহিতের দল, মাঝের ৯ ওভারে তোলে ৭৫ রান, কিন্তু শেষ ৫ ওভারে ৪ উইকেট খুইয়ে করতে পেরেছে মাত্র ৩৬ রান। এর পেছনে ফিল্ডার ডু প্লেসির বিরাট অবদান। লংঅন-লংঅফ বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে তার নেওয়া অসাধারণ তিনটি ক্যাচই মুম্বাইকে বেশিদূর যেতে দেয়নি। জাদেজার করা ১৫তম ওভারেই ফিরিয়েছেন দলের সর্বোচ্চ স্কোরার সৌরভ তিওয়ারি (৩১ বলে ৪২) ও হার্দিক পান্ডিয়াকে। তিওয়ারির ক্যাচ নিয়েছেন সীমানার বাইরে যাওয়া বল শরীরের ভারসাম্য রেখে। পান্ডিয়া ও প্যাটিনসনের ক্যাচ দুটিও একেবারে সীমানা দড়ির কাছ থেকে লুফেছেন দারুণভাবে।
রান তাড়ায় চেন্নাইয়ের দুই নায়ক অম্বাতি রায়ডু ও ডু প্লেসি। স্কোরবোর্ডে মাত্র ছয় রান জমা হতে ২ উইকেট হারানো দলকে তারা জয়ের রাস্তায় ফিরিয়েছেন তৃতীয় উইকেটে ১১৫ রানের জুটি গড়ে। ডু প্লেসি একপ্রান্ত ধরে রেখেছেন, আক্রমণ করেছেন রায়ডু। তিন ছক্কা ও ছয় চারে ৪৮ বল থেকে ৭১ করে রায়ডু ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন লেগস্পিনার রাহুল চাহারকে। ১৮ রানের ছোট্ট ঝোড়ো ইনিংসে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে গেছেন কারেন। আর মন্থর গতিতে এগোনো ডু প্লেসির ৪৪ বলে অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংসেই ৪ বল বাকি থাকতে সমাপ্তিরেখা পেরিয়েছে চেন্নাই। মুম্বাইয়ের চ্যাম্পিয়ন পেসার যশপ্রীত বুমরা ৪৩ রান রান দিয়ে ম্যাচেরই সবচেয়ে খরুচে বোলার। ম্যান অব দ্য ম্যাচ অম্বাতি রায়ডু। পাঁচ ম্যাচ পর মুম্বাইকে হারালো চেন্নাই।
তবে মধুর এই জয়টা তাদের দর্শক মাঠে সমবেত হর্ষধ্বনিতে উদযাপন করতে পারলো না। একে তো করোনাভাইরাসের কারণে ভিন দেশে খেলা, করোনা-সতর্কতা থেকেই সেটাও দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। তবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেট জনতা তারপরও খুশি যে আইপিএল শুরু তো হলো।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মুম্বাই: ২০ ওভারে ১৬২/৯, চেন্নাই: ১৯.২ ওভারে ১৬৫/৫