উপভোগের মন্ত্রে সাফল্যের সন্ধানে মাহমুদউল্লাহ

সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনে মাহমুদউল্লাহ -ছবি: বিসিবিসর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মাহমুদউল্লাহকে সবচেয়ে ভালোভাবে পেতেই মূলত টেস্টে মাহমুদউল্লাহকে নেওয়ার ইচ্ছা নেই বিসিবির। তাই চলতি বছর বিসিবির লাল বলের চুক্তিতে নেই তিনি। তবে চুক্তিতে না থাকলেও রবিবার ২৭ জনকে নিয়ে শুরু হওয়া ক্যাম্পে আছেন। গত দুই মাস ধরে ব্যক্তিগত অনুশীলন করলেও এদিনই দলীয় অনুশীলন শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা। প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে দারুণ তৃপ্ত  ক্রিকেটাররা।

সবার হয়ে মাহমুদউল্লাই যেন বলে দিলেন একসঙ্গে অনুশীলনে উপভোগের মন্ত্রটাই তাদের সাফল্যের সন্ধান দেবে, ‘আমরা ব্যাটিং করছি ৪-৫ সপ্তাহ হলো। ব্যক্তিগতভাবে অনেক কাজ করার ছিল, সেগুলো করেছি। ব্যাটিং কোচের সাথে কথা হয়েছিল, সে নির্দেশনা অনুসারে কী কী কাজ করা দরকার ছিল বোলিং মেশিনে সেসব করেছি। এখন সতীর্থদের সঙ্গে কাজ করছি, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা হচ্ছে। সতীর্থরাও বেশ উৎফুল্ল এবং আমিও। কারণ দিনশেষে এটা একটা দলীয় খেলা, দলের সবার সাথে মিলে অনুশীলনটা যদি উপভোগ করা যায়, তাহলে ওটা আরও বেশি কার্যকর হবে নিজের এবং সতীর্থদের জন্য।’

লকডাউনের কঠিন সময়টার কথা মনে করে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘অনেকদিন পর আমরা আজ মিরপুরে দলবদ্ধ অনুশীলন শুরু করলাম ভালো লাগছে। লকডাউনের সময়টা খুবই কঠিন ছিল, কারণ দল থেকে দূরে, অনুশীলন থেকে দূরে ছিলাম। কিন্তু বাসায় করতে পেরেছি রানিং বা জিমের কাজগুলো। স্কিলের কাজগুলো করতে পারছিলাম না।’

৪৯ টেস্ট খেলা মাহমুদউল্লাহ লকডাউনের সময়টাতে ফিটনেস নিয়ে বেশি কাজ করেছেন, ‘লকডাউনে ট্রেডমিলে অনেক সময় ব্যয় করেছি। ফিজিও ও ট্রেনারের গাইডলাইন ছিল, সপ্তাহ বা ৩-৪ দিন পর পর কথা হতো কী কী কাজ করা যায়, জিমের প্রোগ্রামগুলো দেওয়া হয়েছে। ওই জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করেছি, ব্যান্ডের কাজগুলো করা হয়েছে। ওগুলো করে বেশ ভালো ফল পেয়েছি।’

জাতীয় দলের আনসাং হিরো টেস্ট ক্রিকেটে ফেরাটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন। মুখে চ্যালেঞ্জ শব্দটা উচ্চারণ করেননি। তবে প্রস্তুতিতেও বিষয়টি যেমন পরিষ্কার করে তুলছেন, আবার ইঙ্গিতে বলেছেনও একটু, ‘ফিটনেস নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। এখন শুধু স্কিলের কাজগুলো করছি। কারণ দিনশেষে স্কিলটাও গুরুত্বপূর্ণ। ফিটনেস ও স্কিল দুটো মিলিয়েই ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে। আমি ভালো করতে মুখিয়ে আছি।’