উলভসের মাঠে সিটির দারুণ জয়

জেসুসের গোল উদযাপন -ছবি : টুইটারসব বড় দলই মাঠে নেমে গেছে। বাকি ছিল শুধু ম্যানচেস্টার সিটি। তা গত লিগের রানার্সআপদের জন্য শুরুর ম্যাচটি কঠিনই ছিল। প্রতিপক্ষ যে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স, গত মৌসুমের বিস্ময়!

তবে শুরুটা ভালোই হলো পেপ গার্দিওলার দলের। উলভসের মাঠে সোমবার জিতলো ৩-১ গোলে। বলতে গেলে প্রথমার্ধেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয় তারা ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়িয়ে একটি গোল যেমন উলভস ফেরত দিয়েছে, তেমনি প্রচণ্ড চাপও সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু চাপের কাছে হার মানেনি সিটি, উল্টো যোগ করা সময়ে আরেকটি গোল করেছি আরেকটি।

প্রথমার্ধের ২০ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে তা থেকে নিজেই গোল করেছেন সিটির প্লে-মেকার কেভিন ডি ব্রুইনা। ৩২ মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের সঙ্গে বোঝাপড়ায় দুর্দান্ত গোল করেছেন ফিল ফডেন। প্রথমার্ধে সিটির সামনে যেন অসহায় লাগছিল উলফদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ক্লান্ত পায়ের গার্দিওলার দলের বিপক্ষে প্রবল প্রতাপে ঘুরে দাঁড়ায় নুনো এস্পিরিতোর দল। তাদের ফিনিশিং ভালো হলে ফলটা অন্যরকম হলেও হলে পারতো।

৭৭ মিনিটে রাউল হিমেনেজ সিটিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন একটি গোল। এরপর থেকে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে তারা অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে। কিন্তু উল্টো যোগ করা সময়ে পোস্টের খুব কাছ থেকে সুযোগসন্ধানী এক গোল করেছেন সিটির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুস।

এই জয়ে পেপ গার্দিওলা ভীষণ খুশি। সিটির কোচ স্কাই স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘ দারুণ পারফরম্যান্স হয়েছে আমাদের। আমরা জানতাম ম্যাচটি কী কঠিন।’

তবে সিটি সামগ্রিকভাবে খুশি হতে পারে আরও দুটি কারণে। গত মাসে ইংল্যান্ড দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে আইসল্যান্ড থেকে দেশে ফেরা ফডেন দুর্দান্ত খেলেছেন। মনে হচ্ছে ধাক্কাটা কাটিয়ে মানসিকভাবে আরও শক্ত হয়ে উঠেছেন ২০ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। আর সার্জিও আগুয়েরো, আইমেরিক লাপোর্তে, রিয়াদ মাহরেজ, ইলকায় গুন্দোয়ানের অনুপস্থিতি সত্বেও কঠিন প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে এভাবে জিতে আসা। আগুয়েরো রয়েছেন অস্ত্রোপচার পরবর্তী পুনর্বাসনে। বাকি চারজন করোনায় আক্রান্ত।