মন খারাপ পেসার আবু জায়েদের

আবু জায়েদ রাহী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার আবু জায়েদ রাহী। ২২ সেপ্টেম্বর করা করোনা টেস্টের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই। অথচ ঢাকায় এসেছিলেন স্কিল ক্যাম্পে যোগ দিতে। ঢাকার বাইরে থেকে আসা অন্য ক্রিকেটাররা আইসোলেশন পর্ব কাটিয়ে মাঠে ফিরলেও ফেরা হয়নি আবু জায়েদের। করোনা আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দি হয়েই আছেন।

অলস সময় কাটছে বিষন্ন আবু জায়েদের। ২৭ ক্রিকেটারের মধ্যে ১১ জনের হোটেলে ওঠা হয়নি। সে সময় করোনা আক্রান্ত ছিলেন সাইফ হাসান। উপসর্গ আছে এমন দুই ক্রিকেটারের সংস্পর্শে যাওয়ায় বাকি ১০ জনকে একাডেমি ভবনে আইসোলেশনে থাকতে হয়। তাদের একজন জায়েদ। ২২ সেপ্টেম্বর তৃতীয় পরীক্ষায় জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।

এই মুহুর্তে শারীরিকভাবে ভালো থাকলেও মনটাই যে ভালো থাকছে না জায়েদের। বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো আছি, সুস্থ আছি। আমার শরীর আগেও খারাপ ছিল না, আক্রান্ত হলেও তেমন সমস্যা নেই আমার। শুধু নাকে গন্ধ পাইনি। এ ছাড়া কোনও উপসর্গ ছিল না। জ্বর বা সর্দি, এমন কিছু নেই। আগেও ছিল না। শুধু নাকের গন্ধ চলে গিয়েছিল।’

বাংলাদেশের হয়ে ৯ টেস্ট, ২ ওয়ানডে ও ৩টি টি- টোয়েন্টি খেলা এই পেসার আরও বলেছেন, ‘রুমের মধ্যেই আছি। প্রথমদিকে যেমন ছিলাম, তেমনই আছি। মাঝখানে শুধু গন্ধ হারিয়েছিলাম। এখন আস্তে আস্তে নাকে গন্ধ ফিরে আসছে। এখন গন্ধ পাচ্ছি।’

 মিরপুরের একাডেমি ভবনে আসলে কেমন কাটছে সময়? জায়েদ বললেন, ‘সত্যি বলতে ঘরে বন্দি থাকলে কাজের তো কিছু থাকে না। কাজ থাকলেও এই সময়ে আপনি করতে পারবেন না, সুযোগ নেই। বড় সঙ্গী এখন মোবাইল। মোবাইল নিয়ে থাকি। নামাজ পড়ছি, কুরআন তেলওয়াত করছি। ঘর পরিষ্কার করছি।’ এত কিছু করেও অনুশীলনের কথা ভাবলেই মনটা ভালো থাকে না কিছুদিন ধরে টেস্ট দলের নিয়মিত পেসারের, ‘অনুশীলন শুরু হয়ে শেষও হয়ে গেল। আবার শুরু হবে। কিন্তু শুরু থেকে আমি থাকতে পারলাম না। খারাপ লেগেছে, এখনও লাগছে যে এতদিন পর অনুশীলন শুরু হলো কিন্তু আমি করতে পারলাম না। তবে এখানে তো কিছু করারও নেই। মাঝেমাঝে মন বেশ খারাপ হয়। তবুও আশায় আছি সুস্থ হয়ে দ্রুত মাঠে ফেরার।’

এদিকে শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে আগের মতো অন্ধকারেই আছে বিসিবি। নতুন খবর, আগামী মাসের শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে লঙ্কান বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর।