২০ সেপ্টেম্বর থেকে দলীয় অনুশীলন শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের। শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হলেও স্কিল ক্যাম্প চলবে, জানিয়েছেন তিনি, ‘করোনা পরিস্থিতি তো আমাদের দেশে একেবারে ভালো হয়ে যায়নি যে আমরা এখনই সব শুরু করতে পারবো। তবে আমরা খেলা (ক্রিকেট) শুরু করছি। আপাতত আমাদের ক্যাম্প তো চলছেই। এদের এখনও ১৫ দিনের ক্যাম্প বাকি আছে। এই অনুশীলনটা চলবে। এরপর স্কিল ক্যাম্পের ক্রিকেটারররা তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। প্রস্তুতি ম্যাচের পর পরই আমরা ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করতে যাচ্ছি।’
ঘরোয়া ক্রিকেট বলতে প্রিমিয়ার লিগ কিংবা জাতীয় লিগকে বোঝাননি নাজমুল হাসান। তার পরিকল্পনা সীমিত আকারে কর্পোরেট গোছের ক্রিকেট। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘আমরা পাঁচ-ছয়টি দল নিয়ে প্রথমে খেলার জন্য চিন্তাভাবনা করছি। ছয়টি দল হলে ৯০ জন খেলোয়াড়। যদি এতজন খেলোয়াড়কে একসঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায়, তাহলে সেটা ভালো হবে। মানে যত বেশি খেলানো যায় তত ভালো। ওদের নিয়ে যদি আমরা একটা টুর্নামেন্ট করতে পারি, এটা কর্পোরেট লিগ হতে পারে কিংবা বিসিবির দল হতে পারে। আবার এমন তো হতে পারে আমাদের জাতীয় দল, এইচপি, অনূর্ধ্ব-১৯ তিন-চারটি দল বানিয়ে খেলতে পারি। এদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা হতে পারে, কিংবা ওদের মধ্যে একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করলাম। যেখানে বিসিবি স্পনসর থাকবে।’
বোর্ড প্রধানের প্রতিশ্রুতি, ‘এই দুটির একটি আমরা করে ফেলবো। এটা নিয়েই আজ আলাপ হয়েছে। এর বাইরে আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে লিগের খেলাগুলো চালু করে দেবো। এটা আজকেই বলে দিতে পারতাম, তবে এখানেই শেষ না। আমি বলেছি ওদের প্রস্তাব দিতে। খেলা তো শুরু করা যায়, এটা তো সমস্যা না। তবে কীভাবে আমরা এই করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ওদের নিরাপদ রেখে খেলাটি পরিচালনা করতে পারি সেই প্রস্তাবটি দিতে বলেছি।’
করোনার প্রকোপে গত মার্চে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ বন্ধ হয়ে যায়। লিগ শুরুর কোনও পরিকল্পনা আছে কি না এমন প্রশ্নে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘চেষ্টা তো করবো যেটা স্থগিত আছে সেটা আয়োজন করার। এরপর আগামী বছরেরটা আগামী বছর হবে, দুটিই করার চেষ্টা করবো। এই প্রস্তাবগুলোই দিচ্ছি যে দুটি করা সম্ভব কি না। আমাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা হচ্ছে দুটোই করা। করোনা সামনে কোন পরিস্থিতিতে ফেলবে সেটা তো আমরা বলতে পারছি না। কাজেই আমাদের সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে।’