প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে তার অবদানই তাদের মনে পড়ে

খালেদ মাহমুদ, নাঈমুর রহমান ও আকরাম খান -ছবি : বিসিবিঅনেকদিনই হলো খেলা থেকে অবসর নিয়ে বাংলাদেশের সাবেক তিন ক্রিকেট অধিনায়ক দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে যুক্ত। প্রথমে খেলোয়াড়ের ভূমিকায়,পরে কর্মকর্তা হিসেবে ক্রিকেটের বাঁক বদলের অনেক মুহূর্তের সাক্ষী আকরাম খান, নাঈমুর রহমান ও খালেদ মাহমুদ। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচিত এই তিন পরিচালক মনে করেন ক্রিকেট আজকের এই আলোকিত বৃত্তে পৌঁছেছে, দেশের এক নম্বর খেলা হিসেবে উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক পৃষ্ঠপোষকতায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে এই কথাটিই বলেছেন তারা। মায়ের কাছে তার সব সন্তানই সমান। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার মতো ক্রীড়াদরদী প্রধানমন্ত্রী কখনও পায়নি। প্রতিটি খেলারই উন্নয়নের জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করেন তিনি। তবু আকরাম, নাঈমুর,মাহমুদ মনে করেন ক্রিকেটেই ভালোবাসার হাত দু’খানা বেশি প্রসারিত প্রধানমন্ত্রীর এবং সেই হাত কখনও সরবে না। আরও এগিয়ে যাবে দেশের ক্রিকেট।

প্রধানমন্ত্রীকে জানানো জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তায় এসব কথাই বলেছেন সাবেক তিন অধিনায়ক:

করাম খান: ১৯৯৬ সালে ক্রিকেট কিন্তু এত জনপ্রিয় ছিল না। আমার মনে আছে, আমরা ’৯৬ এসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আপনি আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা দিয়েছিলেন। যেটি সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম এত বেশি টাকা পাওয়া আমাদের জন্য। ১৯৯৭ সালের কথা তো সবারই মনে আছে। আপনি আমাদের ডেকে এনে যে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন তা আমরা জীবনে ভুলতে পারবো না। সবচেয়ে বড় অবদান হলো, ওই অনুষ্ঠানের পর প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ক্রিকেট কী জিনিস সেটা সবাই বুঝেছিল। তারপর বাংলাদেশে ক্রিকেট এক নম্বর খেলা হিসেবে আছে এখন পর্যন্ত। আমি মনে করি বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবারই অবদান আছে, তার মধ্যে আপনার অবদান অন্যতম সেরা। আজ আপনার জন্মদিনে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে আপনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবন কামনা করছি।

নাঈমুর রহমান : ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর প্রথম টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। সেখানে নেতৃত্ব দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। কিন্তু তার আগের প্রেক্ষাপটে ছিল বাংলাদেশের টেস্ট স্টাটাস প্রাপ্তি। এবং সে প্রাপ্তিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা যিনি পালন করেছেন তিনি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আজ উনার জন্মদিনে সে কথা স্মরণে রেখে এবং বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ করে ক্রিকেটে এমনি আরও অনেক অবদানে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমার পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

খালেদ মাহমুদ: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনি যেভাবে বিগত বছরগুলোতে ক্রিকেট দলকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন আশা করি আগামীতেও সেরকম উৎসাহ আমরা পাবো। পরিশেষে আপনার সুস্থ ও দীর্ঘজীবন কামনা করছি।