আফিফের দুই রানের আক্ষেপ, শান্ত একাদশের ২৬৪

৯৮ রান করে রান আউট হয়ে গেলেন আফিফ -ছবি: বিসিবি গত কয়েকদিনের ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠেছেন ব্যাটসম্যানরা। শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটে ব্যাটসম্যানরা ফিরেছেন রানের ধারায়। মাহমুদউল্লাহ একাদশের বিপক্ষে নাজমুল একাদশ করেছে ২৬৪ রান করেছে ৮ উইকেটে। মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন আফিফ হোসেন।

গত তিন ম্যাচে দু’একজন ব্যাটসম্যান সাফল্য পেলেও বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান অস্বস্তি নিয়ে ব্যাটিং করেছেন। শনিবার শুরুতেও তেমন কিছুই ইঙ্গিত মিলছিল। ৩১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে নাজমুল একাদশ। তবে মুশফিক-আফিফের চতুর্থ উইকেটে ১৪৭ রানের জুটি দলকে বিপদমুক্ত করার পাশাপাশি স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করেছে। দুইজনই বড় ইনিংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দলীয় ১৭৮ রানে মুশফিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হন আফিফ (৯৮)। মাহমুদউল্লাহর দারুণ ফিল্ডিংয়ে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আফিফকে। তবে ফিল্ডার হিসেবে যতটা না বাহবা মাহমুদউল্লাহ পাবেন, তার চেয়ে বেশি দায় নিতে হবে মুশফিককে।

১০৮ বলে ১২ চার ১ ছক্কায় আফিফ তার নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। পুরো মাঠেই দৃষ্টিনন্দন সব শট খেলে দিনটি নিজের করে নিয়েছেন। ৬৯ বলে ৬ চারে ফিফটি পূর্ণ করেন আফিফ। তরুণ এই অলরাউন্ডারের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিকও। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া মুশফিক ৯২ বলে ৫২ রান করে ফিরে যান ড্রেসিংরুমে।

শেষদিকে তৌহিদ হৃদয় ২৯ বলে ২৭ ও ইরফান শুক্কুরের ৩১ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে সাত উইকেটে ২৬০ রান সংগ্রহ করে নাজমুল একাদশ। ইরফানের ৪৫ রানের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্কা।

মাহমুদউল্লাহ একাদশের বোলারদের মধ্যে সফলতম রুবেল হোসেন ৪৯ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া ইবাদত হোসেন ৬০ রানে ২টি এবং সুমন খান ৫২ রানে একটি উইকেট নিয়েছেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নাজমুল একাদশ: ৫০ ওভারে ২৬৪/৮ (আফিফ ৯৮, মুশফিক ৫২, ইরফান ৪৮, তৌহিদ ২৭, পারভেজ ১৯; রুবেল ৩/৪৯, ইবাদত ২/৬০, সুমন ১/৫২)