তামিম-লিটন-সৌম্যদের ব্যাটিংয়ে চিন্তিত নন ডমিঙ্গো

বুধবারের ম্যাচে ফিফটি পেয়েছেন তামিম ইকবাল - ছবি:বিসিবিবিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচে একই দৃশ্য। দলীয় ৫০ রানেই নেই প্রথম দিকের ৪-৫ ব্যাটসম্যান। এরপর লোয়ার মিডল অর্ডারের সৌজন্যে দলগুলো কখনও কখনও মাঝারি মানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে কিংবা কষ্টে-সৃষ্টে জিতেছে। তবে ওপরের দিকের ব্যাটসম্যানদের এমন ব্যাটিং বিন্দুমাত্র বিচলিত করছে না জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে।

তিন দলের টপ অর্ডারে ব্যাটিং করা লিটন, সৌম্য, নাজমুল, সাইফ, নাঈম, এনামুল, তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমনরা ব্যর্থ হয়েছেন। ব্যর্থ বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক ও দেশের ইতিহাসের সেরা ওপেনার তামিম ইকবালও। বুধবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শুধু একটি হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন, তাও স্ট্রাইক রেট বলার মতো নয়। ৮৫ বলে ৬৭.০৫ স্ট্রাইক রেটে তামিম করেছেন ৫৭ রান। বাকি তিন ইনিংসে তার রান ২,৩৩ ও ৯। সব মিলিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের টুর্নামেন্টে টপ অর্ডারের পারফরম্যান্স হতাশাজনক।

যদিও ডমিঙ্গো এটাকে হতাশজনক মনে করছেন না। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘ওদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। আমি ওদের চেষ্টাটা দেখেছি। পুরো টুর্নামেন্টে প্রতিটি খেলোয়াড় কতটা মনোযোগ দিয়ে খেলেছে, সেটি আপনারা দেখেছেন। হয়তো আরও কিছু রান পেলে ভালো হতো। তবে আপনাকে এটাও বুঝতে হবে যে ছেলেরা প্রায় ৭ মাস ধরে কোনও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেনি।’

টানা ৭ মাস পর ক্রিকেটাররা প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এই সুযোগকেই বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখেছেন প্রোটিয়া এই কোচ,  ‘কোচ হিসেবে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ছেলেরা অন্তত কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে। ম্যাচ খেলার চেয়ে বড় অনুশীলন আর নেই। তাছাড়া প্রতিটি ম্যাচই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়েছে। উইকেটগুলো রান করার জন্য সহজ ছিল না। টুর্নামেন্টে কিছু তরুণ অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। মুশফিক, রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ), তামিমের মতো কিছু সিনিয়র ক্রিকেটার রান পেয়েছে। মূল বিষয়টা হচ্ছে ছেলেরা অন্তত প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে।’