আগামী ৫ নভেম্বর চার্টার্ড বিমানে করে ঢাকায় আসবে নেপাল। সাধারণত দেশের বাইরে থেকে কেউ এলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের নিয়ম। কিন্তু নেপালের বেলায় এর মেয়াদ কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে লিখিত আবেদন (আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভার পর) করেছে বাফুফে। তারা চাইছে কোয়ারেন্টিন পর্বটা যেন কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ দিনের হয়। তবে এই সময় দল যেন অনুশীলন করতে পারে তারও অনুমতি চাওয়া হয়েছে সেই আবেদন পত্রে।
রবিবার বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ নিয়ে ভার্চুয়ালি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা হয়েছে। সেখানে অংশ নেন বাফুফের কর্মকর্তারাও। সভা শেষে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাদের বিদেশি কোচ ও নেপাল দলের ঢাকায় আসার পর কোয়ারেন্টিন পর্বটা যেন কমিয়ে আনা হয়, সেই ব্যাপারে সভায় আলোচনা হয়েছে। এই সময়ে তারা শুধু হোটেল টু স্টেডিয়ামে অনুশীলনে যাবে, আবার ফিরে আসবে। এছাড়া আমরা সবাইকে জৈব সুরক্ষার মধ্যেও আনতে চাই। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে এ নিয়ে আবারও আলোচনা হবে। আশা করছি, সবকিছু ঠিকঠাক মতো চলবে।’
বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ দুটি সন্ধ্যা ৬টায় আয়োজন করার ইচ্ছা বাফুফের। কিন্তু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইটের তীব্রতা কম থাকায় বিষয়টি নিয়ে জটিলতা রয়েছে। তাই এ নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে আবারও সভায় বসতে হবে তাদের।
এছাড়া মাঠে দর্শক প্রবেশ নিয়েও আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভাতে আলোচনা হয়েছে। বাফুফে চাইছে এক-তৃতীয়াংশ দর্শক যেন মাঠে উপস্থিত থাকতে পারে। সে জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে সবাই যেন মাঠে প্রবেশ করতে পারে, সেই পদক্ষেপও নেবে তারা।