কাজী তারিকের স্বপ্নের রং লাল-সবুজ

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুশীলনে কাজী তারিক। ছবি: বাফুফেডেনমার্ক থেকে এসে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন জামাল ভূঁইয়া। এখন তো তিনি জাতীয় দলেরই অধিনায়ক। তাকে অনুসরণ করে ফিনল্যান্ড থেকে এসেছেন কাজী তারিক রায়হান। বাংলাদেশে ক্লাব ফুটবলে খেলছেন বসুন্ধরা কিংসের হয়ে। আর এবারই নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচে প্রথম ডাক পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে। আজ (বৃহস্পতিবার) করেছেন প্রথম অনুশীলন। আগেও বলেছেন জামালের মতো বাংলাদেশের জাতীয় দলে খেলতে চান। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ওয়ার্মআপ শেষে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে মাঠে নামার স্বপ্নের কথাই বলেছেন আবারও।

বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে খেলতে এসেই বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছেন। কেমন অনূভুতি এ নিয়ে?  সুঠামদেহী তরুণ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এটা স্বপ্ন পূরণের মতো। তবে আমার মূল লক্ষ্য বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলা। আমার এখানে ভালো লাগছে। দুইদিন আগে বাংলাদেশে এসেছি। আজকের অনুশীলনে সতীর্থদের সংস্পর্শে এলাম। সতীর্থদের সম্পর্কে জানতে পারাটা ভালো আমার জন্য।’

ক্লাব ফুটবলে দুটি মাত্র ম্যাচ খেলেছেন। সেটিও করোনার কারণে ‘অকালমৃত’ গত লিগে। কিন্তু কাজী তারিক জাতীয় দলের মূল স্কোয়াডে জায়গা পেতেই লড়াই চালিয়ে যাবেন, ‘আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। পরিশ্রম করবো। দেখা যাক এরপর কী হয়। মাত্রই অনুশীলনে যোগ দিয়েছি। নেপাল ম্যাচ নিয়ে আমার পক্ষে এখনই বলাটা খুব দ্রুত হয়ে যায়। মূল লক্ষ্য ম্যাচের আগে যতটা সম্ভব ফিটনেস ফিরে পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করা।’

শীতপ্রধান ফিনল্যান্ড থেকে এসে ২০ বছর বয়সী কাজী তারিককে এই দেশের গরম আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হচ্ছে। তবে এটিকে বড় কোনও সমস্যা হিসেবে দেখছেন না এই ডিফেন্ডার, ‘ফিনল্যান্ডে তাপমাত্রা মাইনাস ২ বা ৩। কিন্তু এখানে ৩৫ ডিগ্রি (বৃহস্পতিবার ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। অবশ্যই আমার জন্য অনেক ব্যবধান। কয়েক সপ্তাহ কাটালে আর অনুশীলন সেশনগুলো করলে আমার জন্য মানিয়ে নেওয়া বড় কোনও সমস্যা হবে না বলে মনে হচ্ছে।’