দুবাইতে আগের ম্যাচে কোহলিদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে চেন্নাই হারিয়েছে অখ্যাত এক তরুণের ব্যাটিং। ভেন্যু দুবাই, সেই তরুণ ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়ই কলকাতারও হারের কারণ। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে যাওয়া কলকাতা ৫ উইকেটে করেছিল ১৭২ রান। চ্যালেঞ্জিং স্কোর। বেশ মসৃন গতিতে এগিয়ে চেন্নাই ম্যাচ জিতেছে অবশ্য কঠিন করে। শেষ বলে গিয়ে এই রানটা টপকে যেতে পারলো ওপেনার রুতুরাজের ৫৩ বলে ৭২ রানের ইনিংসের সৌজন্যে। ১৭.৫ ওভারে প্যাট কামিন্সের বলে বোল্ড হওয়ার আগে দুর্দান্ত সব শটে ৬ ছার ও ২ ছক্কা হাঁকিয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। দলকে জিতিয়ে ফিরেছেন বহু যুদ্ধের পরীক্ষিত সৈনিক রবীন্দ্র জাদেজা। তরুণ পেসার কমলেশ নগরকোটির করা শেষ ওভার থেকে ১০ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। প্রথম তিন বলে মাত্র ৩ রান দিয়ে শেষ তিন বলে দুই দলকে ৭ রানের দূরত্বে দাঁড় করান নগরকোটি। চতুর্থ বলটি ডট। পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকান জাদেজা। শেষ বলটা ডট হলে ম্যাচ যায় সুপার ওভারে। কিন্তু জাদেজা সেটিকে পাঠিয়ে দেন ছয়ের ঠিকানায়, ১১ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৩১ করে থাকেন অপরাজিত।
সন্ধ্যার শিশির ম্যাচে প্রভাব ফেলেছে। স্পিনাররা ভালোভাবে বল গ্রিপ করতে পারেননি। তবে কলকাতার বোলাররাও বাজে বোলিং করেছেন। বিশেষ করে লকি ফার্গুসন। ৪ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য কিউই ফাস্ট বোলার। ব্যাটিংয়ের হিরো নীতিশ রানাও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অফস্পিনে ১৬ রান দিয়েছেন এক ওভারে। অনেক ভরসার ক্যারিবিয়ান রহস্য স্পিনার (রহস্য যদিও আর নেই) সুনীল নারাইন ২৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। ৩১ রানে ২ উইকেট নিলেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি সাড়ে ১৫ কোটি রুপিতে কেনা অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার কামিন্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কলকাতা: ২০ ওভারে ১৭২/৫ (রানা ৮৭, গিল ২৬, কার্তিক ২১*, এনগিডি ২/৩৪, জাদেজা ১/২০) ও চেন্নাই: ২০ ওভারে ১৭৮/৪ (রুতুরাজ ৭২, রায়ডু ৩৮, জাদেজা ৩১*, বরুণ ২/২০, কামিন্স ২/৩১)।