টুর্নামেন্টে মুশফিকের বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই যাত্রা শুরু করবে চট্টগ্রাম। এর আগে বুধবার মিঠুন বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমি আমার দল নিয়ে অনেক খুশি। আমরা অবশ্যই ভারসাম্যপূর্ণ একটা দল। এখন মাঠে প্রমাণ করতে হবে। আমি মনে করি যে, আমরা যদি স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারি। তাহলে ইতিবাচক ফলাফল আসবে।’
ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে মিঠুনের। সেই সুবাদে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে তার ওপর আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। মিঠুন নিজেও খুব আত্মবিশ্বাসী এই দায়িত্ব পেয়ে, ‘আমি প্রিভিলেজড। আমাকে যোগ্য মনে করেছে। আমি অবশ্যই আমার দিক থেকে শতভাগ চেষ্টা করবো আমার নিজের এবং দলের সেরা পারফরম্যান্সটা বের করে আনতে। আমার লক্ষ্য ম্যাচ বাই ম্যাচ। এমনকি প্রতিটা বলও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
মঙ্গলবার উদ্বোধনী দিনের দুটি ম্যাচই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। উইকেট ভালো থাকায় ব্যাট হেসেছে ব্যাটসম্যানদের। মিঠুন আশাবাদী পুরো টুর্নামেন্টেই এমন উইকেট পাওয়া যাবে, ‘গতকালকের (মঙ্গলবার) খেলায় একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে, মাঠের ক্রিকেটটা গুরুত্বপূর্ণ খাতা কলমের চেয়ে। উইকেট দেখে আমার মনে হয়েছে খুব ভালো উইকেট, হাই স্কোরিং ম্যাচ মনে হয়েছে। এমন উইকেট যদি পুরো টুর্নামেন্টে থাকে। তাহলে যত দিন যাবে সবাই আরও ভালো ক্রিকেট দেখবে আশা করি। ’
মিঠুনের দলে সৌম্য-লিটনের মতো বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান রয়েছে। এমন দুইজন ব্যাটসম্যান নিয়ে কতটা রোমাঞ্চিত মিঠুন? চট্টগ্রাম অধিনায়ক জানালেন, শুধু ১/২ জন নিয়েই তিনি ভাবছেন না, পুরো টিমের পারফরম্যান্স নিয়েই তার ভাবনা, ‘আমরা একটা দল, গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। আমি একা কাউকে নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী না, আমরা দল নিয়ে বেশি আশাবাদী। আমরা জানি লিটন এবং সৌম্যর সামর্থ্য কী। তাদের দিনে তারা একা হাতেই ম্যাচ জেতাতে পারে।’
মিঠুন আরও যোগ করেছেন, ‘আমাদের ব্যাটিংয়ের গভীরতা তো অনেক। আমি প্রথমে যেটা বললাম, কোনো একজনের ওপর আশা করছি না। যার যার দিনে সে সে ম্যাচ জেতাবে। কোনোদিন আমি জেতাতে পারি, কোনোদিন মোস্তাফিজও ম্যাচ জেতাতে পারে। আমার কাছে সব খেলোয়াড় সমান গুরুত্বপূর্ণ। ’
মোস্তাফিজ ছাড়াও চট্টগ্রামে তরুণ দুইজন পেসার আছেন। যুব বিশ্বকাপজয়ী শরিফুল ছাড়াও আছেন তরুণ পেসার মেহেদী হাসান। নিজ দলের এই পেস আক্রমণের ওপরেও অনেক আস্থা মিঠুনের, ‘আমরা সবাই জানি মোস্তাফিজের সক্ষমতা সম্পর্কে। ওর ব্যাপারে নতুন করে কিছু বলার নাই। আর শরিফুল খুবই প্রতিভাবান একজন খেলোয়াড়। ভালো গতি আর নিয়ন্ত্রণ আছে। আর মেহেদীকে নেটে যতটুকু দেখেছি, ওর নিয়ন্ত্রণ অনেক ভালো। এছাড়া বিকল্প হিসেবে সৌম্য-জিয়া ভাই যারা আছে, ওদেরও ব্যবহার করা যাবে।’