মাহমুদউল্লাহর কাঠগড়ায় টপ অর্ডার

ব্যর্থ ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। উদ্বোধনী ম্যাচে আরিফুল হকের অতিমানবীয় ইনিংসের কল্যাণে জিতেছিল জেমকন খুলনা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে আর শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় সেই খুলনাই প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে! এমন হারের জন্য টপ অর্ডারের ব্যর্থতাকেই দায়ী করলেন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচে রানের খাতা না খুলে আউট হয়েছেন ইমরুল কায়েস। আরেক ওপেনার এনামুল ২৪ বলে ২৬ রান করে রানআউটের শিকার হয়েছেন। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও বেশি কিছু করতে পারেননি। বিদায় নিয়েছেন ১২ রান করে।  একই রকম ব্যর্থ ছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজেও। ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। সবমিলিয়ে ৫১ রান ‍তুলতেই খুলনা হারিয়েছে ৫ উইকেট।

টপ অর্ডারের এমন ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই সমৃদ্ধ স্কোরবোর্ড পায়নি খুলনা। যেটি হারের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায় পরে। মাহমুদউল্লাহ তাই মনে করেন, ‘আমি বলতে চাই টপ অর্ডারে আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছি, ৫০-৬০ রানের মধ্যে পাঁচটা উইকেট হারিয়েছি। আমার মনে হয় এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না।আমাদের আরও ভালো পরিকল্পনা নিয়ে আসতে হবে। ব্যাটিং বিভাগে তা আরও ভালোভাবে প্রয়োগ করতে হবে। বিশেষ করে টপ অর্ডারে আমি, সাকিব ও বিজয়কে আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।’

টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ১৪৬ রানে থেমেছে খুলনা। তাহলে কি টস জিতে ব্যাটিং নেওয়াটাই কাল হলো? মাহমুদউল্লাহ অবশ্য ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই দায়ী করলেন, ‘আমার মনে হয় ওই (টস জিতে ব্যাটিং) সিদ্ধান্তটা সঠিক ছিল। উইকেট হার্ড ছিল, নতুন বলে হয়তো কিছুটা সুইং ছিল। আমার মনে হয় উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো ছিল। আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি, তাই স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান উঠেনি।’

তবে লেট অর্ডারের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি খুলনার অধিনায়ক। দুই ম্যাচেই আরিফুল-শহিদুল ভালো জুটি গড়েছেন। এ নিয়ে তৃপ্ত মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘দুই জনের মধ্যে দারুণ রসায়ন আছে। প্রথম খেলার মতো এই ম্যাচেও তাদের ভালো জুটি ছিল। এটা ভালো যে, লোয়ার মিডল অর্ডারে আমাদের ব্যাটিংটা ভালো হচ্ছে।’