খাঁটি ইংলিশের চোখেই ম্যারোডানাকে দেখেন জেমি ডে

জেমি ডে১৯৮২ সালে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের দখল নিয়ে ইংল্যান্ডের সঙ্গে যুদ্ধে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু হারতে হয়েছে তাদের। সেই শোধ তারা নিয়েছে ফুটবলে। ঠিক চার বছর পর বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয় শিরোপা জেতায় ডিয়েগো ম্যারাডোনার দল। ট্রফি জিততে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। সেই ম্যাচে  ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার ম্যারাডোনার জাদু দেখেছে বিশ্ব। পুরো প্রতিযোগিতায় ম্যারাডোনার কারণেই আর্জেন্টিনা ছিল অপ্রতিদ্বন্দ্বী। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে করা প্রথম গোলটি নাম ‘ঈশ্বরের হাতের গোল’ এবং এই পরিচিতি নিয়েই তা ইতিহাসে ‘অমর’ হয়ে থাকবে। তবে ইংলিশদের কাছে এটি চিরকালীন এক যন্ত্রণা ও প্রতারণা !

বাংলাদেশ দলের কোচ জেমি ডে নিজেও একজন ইংলিশ। ম্যারাডোনার প্রয়াণে তিনি নিজেও অনেক ব্যথিত। তবে নিজেদের দেশের গোলকিপার পিটর শিলটনের বিপক্ষে করা সেই গোলটি ডে’কে এখনও কষ্ট দেয়।  ডে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন,‘ওই গোলটি প্রতারণামূলক। সেটিও অনেক আগের কথা। আমার বয়স যখন ৯, তখনকার ঘটনা। পুরোপুরি স্মরণ করতে পারছি না। কোথায় খেলাটা দেখেছিলাম। তবে সেই গোলটি ধরা উচিত ছিল না। এর কয়েক মিনিট পরই আমি অন্যতম সেরা গোল দেখেছি ।’

সেই খেলার পর কেটে গেছে ৩৪ বছর। পেছনের খারাপ স্মৃতিটাকে আর আঁকড়ে থাকতে চান না ডে, ‘এখন সামনের দিকে তাকাতে হবে। এক জায়গায় তো থেমে থাকা যায় না। তবে সেই বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা অভাবনীয় ফুটবল নৈপুন্য দেখিয়েছেন।’ ম্যারাডোনার জাদুকরী ফুটবল নৈপুন্য অবশ্য ভুলতে পারেন না ডে। তার কথায়,‘ম্যারাডোনা ফ্যান্টাসটিক খেলোয়াড় ছিলেন। মাঠের ভিতরে অনন্য ফুটবলার তিনি। মাঠের বাইরে অবশ্য কাটিয়েছেন বেশ জাঁকজমকপূর্ণ জীবন। যার দায়ও তিনি বহন করেছেন ।’ দুই গ্রেট পেলে ও ম্যারাডোনাকে বিশ্বের সেরা দুই খেলোয়াড় মনে করেন এই ইংলিশ,‘পেলে ও ম্যারাডোনাকেই বিশ্বের সর্বকালের সেরা দুইজনের মধ্যে রাখবো।’