অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে আকরাম-সুমাইয়ার দিন

আকরাম ও সুমাইয়া: অনূর্ধ্ব-১৯ অ্যাথলেটিকসে দুই সেরাদিনের শুরুতে লংজাম্পে সোনা জিতেছেন আকরাম হোসেন। বিকেলে ছিল তার ১০০ মিটার স্প্রিন্টের লড়াই। সেখানেও সফল যশোরের তরুণ অ্যাথলেট। ৩৬তম জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিভাগে সোনালি সাফল্যে ভাস্বর আকরাম।

শুক্রবার আকরাম বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ বিভাগের দ্রুততম মানব হতে সময় নেন ১০.৯০ সেকেন্ড। অন্যদিকে একই বিভাগে ১২.৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে মেয়েদের মধ্যে সেরা হয়েছেন মানিকগঞ্জের সুমাইয়া দেওয়ান। আকরাম হোসেন সবেমাত্র এসএসসি পাশ করেছেন। তার মূল ইভেন্ট লংজাম্প। সকালে লংজাম্পে ৭.০৮ মিটার দূরত্বে লাফিয়ে সোনা জেতেন। বিকেলে ১০০ মিটার স্প্রিন্টও সফল।

দৌড় শেষ করেই আকরাম তার অনুভূতি প্রকাশ করলেন এভাবে, ‘করোনাভাইরাসের কারনণে খুব বেশি অনুশীলন করতে পারিনি। লকডাউন ছিল। তাই সর্বশেষ তিনমাস কোচ নিবাস হালদারের তত্বাবধানে অনুশীলন করেছি। তাতেই সফল হয়েছি। এখন সিনিয়রদের প্রতিযাগিতায় অংশ নিয়ে সফল হতে চাই।’

এদিকে সুমাইয়া দেওয়ান এবার বিকেএসপির অংশ না নিয়ে নিজের জেলা মানিকগঞ্জের হয়ে খেলতে এসেছেন। জুনিয়র বিভাগে টানা তিনবার সেরার মুকুট উঠলো তার মাথায়। আগের দু’বার ছিলেন বালিকা বিভাগে, এবার কিশোরী বিভাগে। সুমাইয়ার কথা, ‘এবারের আসরে চালেঞ্জ ছিল। যদিও করোনার জন্য অনুশীলন ভাল ছিল না। গ্রামে ঘাসের মাঠে অনুশীলন করেছি। তাছাড়া ছেড়া ট্র্যাকে দৌড়ানো একটু ঝুঁকিপূর্ণই মনে হয়েছে।’ সুমাইয়া আরও যোগ করেন, ‘বিকেএসপি থেকে জেলার হয়ে খেলার অনুমোদন দিয়েছে বলেই খেলতে পেরেছি। ভবিষ্যতে জাতীয় সিনিয়র বিভাগে খেলার পাশাপাশি সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে খেলার আশা রয়েছে। বাকিটা নিজের পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করছে।’