এ বিষয়ে রাজশাহীর মিডিয়া ম্যানেজার ও বাংলাদেশের দলের সাবেক ওপেনার হান্নান সরকার বলেছেন, ‘সাইফউদ্দিনকে নিয়ে যে পরিকল্পনা সাজিয়েছিলাম, সেখানে বড় একটা ধাক্কা খাওয়ার পরে সাইফউদ্দিনকে আশা করি পেতে যাচ্ছি। এখন সঙ্গে যদি মাশরাফিকে পাই, দলের শক্তি অনেক বেড়ে যাবে। সাইফউদ্দিন, মাশরাফি দুজনকে একসঙ্গে খেলাতে পারলে আমাদের জন্য বিশাল একটা পাওয়া হবে।’
দীর্ঘদিন পর গত মঙ্গলবার অনুশীলন করতে মিরপুরে একাডেমি মাঠে পা রাখেন মাশরাফি। তখন থেকেই তাকে দলে নিতে প্রথম দল হিসেবে বিসিবির কাছে আবেদন করে ফরচুন বরিশাল। এরপর আবেদন করে জেমকন খুলনা। এবার মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীও মাশরাফিকে দলের নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারাও বিসিবি বরাবর আবেদন করেছে। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে বঙ্গবন্ধু টি- টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ার্স ড্রাফটে ছিলেন না মাশরাফি। তখন বিসিবি জানিয়েছিল, চাইলে ড্রাফটের বাইরে থেকে কোনো দল তাকে নিতে পারবে। একাদিক দল আগ্রহ প্রকাশ করলে তখন লটারি করা হবে। প্রথম দুই ম্যাচে জেতার পর হেরেই চলেছে রাজশাহী। এ কারণে মাশরাফির মতো একজন অভিজ্ঞ পেসারকে দলে পাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে রাজশাহী। হান্নান সরকার বলেন, ‘ বোলিংয়ে সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোয় কিছুটা সংগ্রাম করতে হয়েছে। পরের তিন ম্যাচে জেতার জন্য বোলিংয়ের ভূমিকাটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবে মাশরাফিকে আমরা চাচ্ছি। আগেও বলেছি, যখন সময় হবে, তখন আমরা সিদ্ধান্ত জানাবো। এখন আমরা এমন একটা অবস্থানে এসেছি যে, মাশরাফিও তার সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে বা বোর্ডও আমাদের মেডিকেল টিমের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা জানাবে। সেটার পরই আমরা আসলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে মাশরাফির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করতে পারি।’
তিনটি দল মাশরাফিকে নেওয়ার জন্য আবেদন করলেও বিসিবি থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এ নিয়ে রাজশাহীর ম্যানেজার বলেন, ‘এখনও বোর্ড থেকে নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি মাশরাফিকে পাওয়ার ব্যাপারে। আমরা যেটা করেছি, তাকে দলে পেতে প্রক্রিয়া শুরু করেছি, বোর্ডে আবেদন করেছি। বাকিটা সময়ের সাথে সাথে বোর্ডের মাধ্যমে জানতে পারবো।’