রাহানের নেতৃত্বে ভারত বরং ভালোই করবে অস্ট্রেলিয়ায়!

কোহলির সঙ্গে রাহানের মাঠের স্মৃতি -টুইটারপ্রথম সন্তান জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে বিরাট কোহলি পিতৃত্বকালীন ছুটিতে ফিরে এসেছেন দেশে। অস্ট্রেলিয়ায় বাকি তিন টেস্টে ভারতের অধিনায়কত্বের ভার উঠছে অজিঙ্কে রাহানের হাতে। দলের সেরা ব্যাটসম্যান ও ক্যারিশমাটিক অধিনায়ক কোহলির অনুপস্থিতিতে ভারত আরও বিপদে পড়বে, এমন আশঙ্কা খোদ ভারতেই। অস্ট্রেলিয়া এটিকে ব্যবহার করতে শুরু করেছে মনস্তাত্ত্বিক অস্ত্র হিসেবে। তবে ইশান্ত শর্মা মনে করেন, অ্যাডিলেড-বিপর্যয়ের পর বাকি তিন টেস্টে ভারতকে বরং ভালোভাবেই নেতৃত্ব দেবেন অজিঙ্কে রাহানে।

চোটের কারণে ইশান্ত যেতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ায়। তার অনুপস্থিতিও ভারতের জন্য দুঃসংবাদ। তবে ভারতের দীর্ঘদেহী ডানহাতি পেসার মনে করেন রাহানের নেতৃত্বে ভারত ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। কেননা রাহানে তার দৃষ্টিতে খুব ‘বোলার-বান্ধব’  অধিনায়ক, ‘সে (রাহানে) খুবই আত্মবিশ্বাসী এবং আমাকে এটা বলতেই হবে যে সে বোলারদের অধিনায়ক। রাহানের অধিনায়কত্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট জয়ের অভিজ্ঞতা থেকে  ইশান্ত আরও বলেছেন, ‘আমরা একসঙ্গে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। যখন বিরাট মাঠে থাকেনি, সে আমাকে জিজ্ঞেস করতো কেমন ফিল্ডিং আমি চাই, আর কখনই বা বোলিং করতে চাই। সে বোলারদের অধিনায়ক। কখনোই সে বলে না, এটা করো বা ওটা।’

মাঠে দু’জন দুরকম। কোহলি সবসময়ই টগবগ করে ফুটতে থাকেন, আর রাহানে ধীর-স্থির শান্ত স্বভাবের। প্রতিপক্ষ যখন নিষ্প্রাণ উইকেটে বিশাল জুটি গড়ে রানের পাহাড় গড়ার দিকে এগিয়ে চলেছে, তখন কোহলি বোলারদের-ফিল্ডারদের জাগিয়ে তুলতে পারেন। কোহলির প্রাণশক্তির সঙ্গে কারোর তুলনা চলে না। তবে চাপের মুহূর্তে রাহানের শান্ত-সমাহিত ভাবও দলের জন্য সহায়ক বলে মনে করেন ইশান্ত, ‘জিঙ্কস (রাহানে) চাপের সময় দলের মধ্যে শান্ত ভাবটা আনে। যেখানে কোনও টেনশন কাজ করে না। বোলারদের সঙ্গে তার যোগাযোগটা খুব ভালো।’

ইশান্ত আরেকটি বিষয়ও সামনে এনেছেন। কোহলি মাঠে থাকলেও পেসারদের সঙ্গে রাহানে কথা বলেন নিয়মিতভাবেই যা অধিনায়ক ও বোলারদের মধ্যে যোগাযোগের সেতু হিসেবে কাজ করে ।