‘ফাস্ট বোলাররা এখন ওদের বড় শক্তি, এবং সেটা ভারতের ফাস্ট বোলিং অ্যাটাকের চেয়েও ভাল। এটা তো আপনাকে সমীহ করতেই হবে।’
দেড় দশক আগে যখন বাংলাদেশ আইসিসি’র পূর্ণ সদস্যপদ পায়, তারপর প্রথম কয়েক বছর বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি।
কপিল দেব কিন্তু মনে করেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নিতে এই সময়টা তাদের দরকার ছিল এবং এখনকার বাংলাদেশ দলটার আত্মবিশ্বাসই আলাদা।
‘ইদানীংকালে তাদের যেভাবে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করতে দেখছি সেটা প্রায় অবিশ্বাস্য। এই একই জিনিস কিন্তু শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও ঘটেছিল – টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর দলটা যেভাবে দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তা ভাবাই যায়নি।’
‘বাংলাদেশকে সে জায়গায় পৌঁছতে অবশ্য আরও ভাল পারফর্ম করতে হবে। কিন্তু আমার বিশ্বাস সেটা সম্ভব, কারণ ক্রিকেট নিয়ে যে মাতামাতি ওখানে, আর বাঙালিরা তো পাগল আমি সব সময়ই বলি ... ।’
|‘আর বাংলাদেশ দলে কয়েকজন সাঙ্ঘাতিক অ্যাথলেট তো আমাকে একেবারে চমকে দিয়েছে। (সৌম্য) সরকার যেমন কয়েকটা ক্যাচ নিয়েছে, ভাবাই যায় না। দলে কিন্তু ওদের এমন ক্রিকেটারেরই প্রয়োজন, শুধু বাইরের নানা দেশের সিনিয়র ক্রিকেটাররা এসে যদি ওদের ঠিকমতো পরামর্শ দিতে পারে তাহলে আর দেখতে হবে না!’
তার ব্যাখ্যা হল, ‘দেখুন, ওরকম পরিস্থিতিতে দশবারের মধ্যে নবারই যে কোনও দল জিতবে। এমন কী আফগানিস্তানও। কিন্তু হাসির কথা নয়, আমি যেটা বলতে চাইছি ক্রিকেটে এমন অনেক কিছু ঘটে যা আপনি কখনও ভাবতেও পারেন না – আর তাই খেলাটা এমন মহান অনিশ্চয়তার। খেলার ঠিক সেই মুহুর্তে, ওই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সঠিক পরিণতিবোধটা দেখাতে পারেনি, কিন্তু আমি নিশ্চিত ওরকম অবস্থায় তারা আর কখনও হারবে না।’
ব্যক্তিগতভাবে কপিলও বিশ্বের আরও নানা ক্রিকেট-পন্ডিতের মতো বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমানের ভক্ত,যদিও তিনি ওর বোলিংয়ে আরও বৈচিত্র্য দেখতে চান।
ভারতের ক্রিকেট মহলে স্পষ্টবাদী ও অপ্রিয় কথা বলার জন্য পরিচিত কপিল সরাসরি আর একটা কথা বলছেন – আগামী পাঁচ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডার্ক হর্স হিসেবে তার বাজি হবে বাংলাদেশই!
সূত্র: বিবিসি বাংলা
/এমএসএম/