প্রতিকূলতাকে কীভাবে জয় করতে হয় দেখালেন তাহির

.দলে পেসারদের কেউ খারাপ করতে থাকলে অন্য পেস বোলারকে খেলানোর উপায় অধিনায়কের থাকে। কিন্তু দলে যখন একজন স্পিনার থাকে, তখন তার উপর চাপ থাকে কয়েকগুণ বেশি। ঠিক এই অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার ইমরান তাহির দেখালেন তার কারিশমা। পিচ থেকে পাওয়া খুব সামান্য সুযোগ, তার মেধা ও নিখুঁত বোলিং করার মাধ্যমে নিজের দলকে এক প্রতিকূল অবস্থা থেকে অনুকূল অবস্থায় নিয়ে এলেন তিনি।

শুধু পেসাররা নয়, স্পিনাররাও যে সমীহ করা বোলিং করতে ও উইকেট নিতে পারে এ বার্তাই যেন সকল স্পিনারদের পক্ষ থেকে সব দলের কর্তাদের কাছে পৌঁছে দিলেন তাহির। দিন শেষে হাশিম আমলার সংগ্রামী সেঞ্চুরিকে পেছনে ফেলে তিনিই ম্যাচসেরা। খেলার শেষে তিনি বললেন এটা তার ‘কঠোর পরিশ্রমের ফল’।

দিনের শুরুটা টস জিতে উপুল থারাঙ্গার জন্য তৃপ্তির হতে পারত, যদি এ ধীরগতির পিচে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের পাশাপাশি তার প্রথম দিকের বোলাররা উইকেট তুলে নিতে পারতেন। নুয়ান প্রদীপের বোলিং আমাকে মুগ্ধ করেছে। লাসিথ মালিঙ্গা দলে থাকলেও বোলিংয়ে তার সেই ধার ও নিয়ন্ত্রণ ছিল না এবং ফিল্ডিংয়ে তিনি ক্যাচ মিস করে দলের জন্য কিছুটা বোঝা হয়ে গেছেন। দ্রুত তার ফিটনেসে উন্নতি না ঘটালে তাকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট খেলেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। শ্রীলঙ্কার দল নির্বাচনে একজন স্বীকৃত বোলারের অভাব ছিল এবং সেই জায়গায় সর্বোচ্চ ফায়দা তুলে নিতে ভুল করেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।
কিছুটা স্লো উইকেটে প্রতিপক্ষের বোলিং যথেষ্ট কুশলতার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা মোকাবিলা করেছে। রান সংগ্রহ মন্থর হলেও তারা বিচলিত হয়নি। প্রতিকূলতার মাঝে ইনিংস ও পার্টনারশিপ কীভাবে তৈরি করতে হয় তার চমৎকার নিদর্শন ছিল হাশিম আমলা ও ডু প্লেসিসের ব্যাটিং। এর সঙ্গে চমৎকার একটা ফিনিশিং দিয়েছেন জেপি ডুমিনি, পূর্ণতা দিয়েছেন ব্যাটিং বিভাগের।

শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক ফর্ম দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মোটেই ভালো নয় এবং অধিকাংশ বড় টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণে অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনআপ দিয়ে দারুণ বোলিং-ফিল্ডিং সমৃদ্ধ দলের বিপক্ষে ৩০০ রান করাটা দুরূহ এই পিচে। দক্ষিণ আফ্রিকা পেস বোলাররা তাদের সেরা ছন্দে না থাকায় শ্রীলঙ্কার চমৎকার ব্যাটিং সূচনা করেছিল। কিন্তু তারপরও এক ইমরান তাহিরের বোলিংয়ের কাছে তাদের ব্যাটসম্যানদের আত্মসমর্পণ করতে হয়, এর পর এই ম্যাচে ফেরার আর কোনও সুযোগ ছিল না।