রংপুরকে হারিয়ে শীর্ষেই থাকল ঢাকা

ঢাকারংপুর রাইডার্সকে ৪২ রানে হারিয়ে বিপিএলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করল ঢাকা ডায়নামাইটস। ৪৬ রানে রংপুরের ছয়টি উইকেট ফেলে দিয়ে ম্যাচ আগেই হাতে নিয়ে নেয় ঢাকা। জিয়াউর রহমান ও সোহাগ গাজীর ৯৩ রানের জুটিতে হারের ব্যবধানটাই যা কমিয়েছে রংপুর।  

১৮৯ রানের লক্ষ্যে যেভাবে খেলার কথা,  তার কোনও কিছুই দেখা যায়নি রংপুরের ব্যাটিংয়ে। দলের ভরাডুবির সূচনা করেন শহীদ আফ্রিদি। আগে বল হাতে ৪০ রান দেওয়া  এই পাকিস্তানি তারকা ইনিংসের দ্বিতীয় বলটিতেই বিগ শট খেলতে দিয়ে ব্যাটের বাইরের কানায় লাগিয়ে কাভারে আন্দ্রে রাসেলের হাতে দেন সহজ ক্যাচ। রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। বোলার আবু জায়েদ বলটি আউট সুইং করিয়েছিলেন।

এই বোলারই এরপর বিদায় করেন ১ রান করা ওয়ান ডাউন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুনকে। শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার জিহান রুপাসিংহে সাকিব আল হাসানকে অ্যাক্রস দ্য লাইন খেলতে গিয়ে হন ৮ রানে লেগ বিফোর। 

মোটামুটি সেট হয়ে খেলছিলেন পাকিস্তনি ওপেনার নাসির জামশেদ। তাকেও ফেরান সাকিব। লেগ স্টাম্পের ওপর পড়া বলটি মিডউকেটের ওপর দিয়ে খেলেছিলেন জামশেদ। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত লাফিয়ে উঠে একহাত বাড়িয়ে দেন আর দেখেন বল জমে গেছে তার হাতে। শেষ হয় জামশেদের ২২ বলে তিনটি চারে ২১ রানের ইনিংস।

ওপেনার থেকে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা সৌম্য সরকার ১ ও লিয়াম ডসন  ১১ রানে সেক্কুগে প্রসন্নর বলে বোল্ড আউট হলে ৪৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় রংপুর। 

তবে দলের অন্য ব্যাটসম্যানদের মতো গা ছাড়া ভাবে খেলেননি জিয়াউর রহমান ও সোহাগ গাজী। নিজেদের উইকেট বিসর্জন দেয়ার মানসিকতায় না খেলে তারা মনোযোগ দেন সংগ্রহকে সম্মানজনক জায়গায় নিতে। এ জুটির ওপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি ঢাকার বোলাররা। সপ্তম উইকেট জুটিতে তারা করেন ৯৩ রান। ৪৬ রান থেকে দলের সংগ্রহ তারা নিয়ে যান ১৩৩-এ। ২৬ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৬ রান করে ডোয়াইন ব্রাভোর বলে ডিপ মিডউইকেটে নাসির হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন সোহাগ। 

জিয়াউর রহমান আউট হন ইনিংসের শেষ বলে। ৪৩ বলে তিনটি চার ও আটটি ছক্কায় ৬০ রান করে তিনি আবু জায়েদের বলে বোল্ড হন। 

আবু জায়েদ ২০ রানে তিনটি,  আর সাকিব আল হাসান ১১ রানে নেন দুটি  উইকেট।

/আরএম/কেআর/