খুলনার সংগ্রহ ১৪১

মাহমুদউল্লাহ ৩৮ বলে ৪০*টস করার সময় দুদলের অধিনায়কই বলেছিলেন প্রথমে বোলিং নেওয়ার কথা। কেন, সেটার প্রমাণ পাওয়া গেল শুক্রবার খুলনা টাইটানস-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচে। টস জিতে ফিল্ডিং নিতে এতটুকু ভাবেননি মাশরাফি, আর সেই সিদ্ধান্তটা যে সঠিক ছিল, তার প্রমাণও দিল তারা খুলনাকে অল্প রানে বেঁধে রেখে। কুমিল্লার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুলনা ২০ ওভারে স্কোরে জমা করেছে ৬ উইকেটে ১৪১ রান।

পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে থাকলেও সেরা চার নিশ্চিতের জন্য কুমিল্লার বিপক্ষে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল খুলনার। সেই ম্যাচটাতেও শুরুটা ভালো হয়নি মাহমুদউল্লাহদের। মাত্র ৮ রানে তারা হারায় প্রথম উইকেটটি। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ শরীফ সরাসরি বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরান রিকি ওয়েলসকে (৪)। শুরুতেই চাপে পড়ে যাওয়া খুলনার খেলায় গতি কমে যায় আরও। ওপেনার হাসানুজ্জামান ও তিন নম্বরে নামা আবদুল মজিদ প্রাথমিক চাপটা সামাল দিয়ে বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন দলের রান। কিন্তু দুর্দান্ত মাশরাফির আঘাতে আবার ছন্দপতন খুলনার। কুমিল্লা অধিনায়কের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মজিদ। ১৮ রান করা এই ব্যাটসম্যানের আউটটা দূর্ভাগ্যজনকও। অনেকটা বাইরের বল তার ব্যাটের নিচের দিকে লেগে আঘাত করে উইকেটে।

মাশরাফি জাদুর শেষটা এখানেই নয়। চলতি বিপিএলে নিজের সেরা বোলিং ফিগার করার পথে ওপেনার হাসানুজ্জামানকেও ফেরান তিনি। ২৯ রানে খুলনা ওপেনার আউট হন লিটন দাসের গ্ল্যাভসবন্দি হয়ে। নিকোলাস পুরানও শিকার মাশরাফির। ১৪ রান করে তিনি ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’-এর বলে ধরা পড়েন ইমরুল কায়েসের হাতে।

টানা বোলিংয়ে স্পেল শেষ করা মাশরাফির বোলিং ফিগারটা এমন-৪-০-১৬-৩। কুমিল্লা অধিনায়কের দাপটের বিপরীতে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও। তার হার না মানা ৪০ রানের ইনিংসের ওপর ভর দিয়েই আসলে খুলনার স্কোর পৌঁছায় ১৪১-এ। মাহমুদ ৩৮ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন চারটি চারে। তার সঙ্গে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া বিনি হোয়েল ৮ বলে করেছেন ১২* রান। এর আগে রশিদ খানের বলে আউট হওয়া আরিফুল হক করেন ১৩ রান, আর শুভাগত হোমের সংগ্রহ ছিল ২।

/কেআর/