বরিশালের বিদায়ে টিকে থাকল রংপুর

Rangpur Riders Player Wicket Shahid Afridi-3বরিশাল বুলসকে ২৯ রানে হারিয়ে বিপিএলের শেষ চারে টিকে থাকার সম্ভাবনাকে আরও জোরদার করল রংপুর রাইডার্স। ১৫৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বরিশাল ১৮.২ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয়। তাতে ১২ খেলায় অষ্টম হারে পয়েন্ট তালিকার সবার নিচে থেকে বিপিএল শেষ করল বরিশাল।

দলের ২ রানে বিদায় নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলার রায়াড এমরিট। বিগহিট নেয়ার জন্য হয়তো নামানো হয়েছিল তাকে।  সোহাগ গাজীকে সুইপ করতে গিয়ে উল্টো দিকে বল তুলে দেন তিনি। থার্ডম্যানে মোহাম্মদ মিথুনের হাতে চলে যায় বল। এমরিট ১ রানে ফেরার পর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও ফেরেন ১ রানে। এবারও বোলার সোহাগ গাজী। এগিয়ে এসে ড্রাইভ করতে গিয়ে পারেননি মুশফিক। লং অনে সৌম্য সরকারের হাতে জমা পড়ে বল। বরিশালের বিপর্যয়ও শুরু হয়।

ইংলিশ ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান ও ফজলে রাব্বি ক্রিজে শেকড় গেড়ে বসেছিলেন। দুই পাকিস্তানি বোলার আনোয়ার আলি ও শহীদ আফ্রিদি ফেরান তাদের জন্য হুমকি হযে ওঠা এই দুই বরিশাল ব্যাটসম্যনাকে।  মালান ২৩ বলে ছয় চারে ৩০, আর ফজলে রাব্বি ১৬ বলে দু চার ও একটি ছক্কায় ২১ রান করেছেন।

বেড়েই চলা আস্কিং রানরেটের ভূত তখন চেপে বসেছে বরিশালের ওপর। থিসারা পেরেরার ছটফটে উপস্থিতি তাই প্রমাণ করে। বল নষ্ট করতে না চেয়ে তিনি প্রথম বল থেকেই মারতে থাকেন। ১৭ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ২৪ রান করে তিনি আফ্রিদির দ্বিতীয় উইকেটে পরিণত হন। 

শাহরিয়ার নাফীস লড়ে যাচ্ছিলেন। কিন্ত বরিশালের জন্য এটি তো হেরে যাওয়া লড়াই! ১৪ রান করে বাজে শট খেলে আত্মসমর্পণ করেন নাফীস। তার বিদায়ে ক্রিজে আর কোনও স্বীকৃত ব্যাটসম্যান রইলো না বরিশালের।

তাইজুল ইসলাম (৯), মনির হোসেন (১) ও কামরুল ইসলাম রাব্বি (০) সেই হেরে যাওয়া লড়াইয়ে নিজেদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। এনামুল হক ছিলেন ৭ রানে অপরাজিত।

/আরএম/কেআর/