জহুরুলের এমন আউটে হতাশ তামিম

তামিম ইকবালজহুরুলের আউটটা না হলে চিটাগংয়ের রানের গতি বাড়ত মনে করেন তামিম। এমনকি এই আউট নিয়ে প্রশ্ন জাগছে তার মনে। 

১৭ বছরের এক যুবক, প্রথমবারের মতো বড়দের সঙ্গে খেলছেন। তার প্রথম ওভারের দুই বলে দুটি বাউন্ডারি মেরে চিটাগং ভাইকিংসের প্রাথমিক বিপর্যয় ঠেকানোর চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু আম্পায়ারের ভুলে জহুরুলকে ফিরে যেতে হয় ড্রেসিংরুমে। বিপিএলে আম্পায়ারদের এমন সিদ্ধান্ত প্রায় প্রতি ম্যাচেই ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে থাকছে। শনিবার যার মঞ্চায়ন হলো মিরপুরের ২২ গজে।

আফিফের প্রথম ওভারে তৃতীয় বলটি জহুরুলে ব্যাটে লেগে পায়ে লাগতেই রাজশাহী কিংস শিবিরে আবেদন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আম্পায়ার নাদির শাহ আঙুল তুলে দিলেন! ব্যাটসম্যান জহুরুল অবাক বিস্ময়ে তাকালেন, পরক্ষণেই মাথা নিচু করে উইকেট ছেড়ে ড্রেসিরুমের দিকে হাঁটা দিলেন।

এই আউটই চিটাগংকে হারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। হয়তো এই আউটটা না হলে আরও বড় স্কোর সংগ্রহ করতে পারত তারা। ঠিক এমনটাই মনে করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল, ‘হতাশার তো অবশ্যই। দেখতে হয়তোবা একটি উইকেট, একটা উইকেট অনেক সময় পরিস্থিতি পরিবর্তন করে দিতে পারে। আমাদের ওটা (জহুরুল) গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ছিল। ওই সময় যদি আউট না হতো তাহলে ভিন্ন পরিস্থিতি থাকতে পারত। জহুরুল ভাই পরপর দুটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন। এমন ডিসমিসালে আসলে আমি কিছু বলতে পারব না। বললে হয়তো সমস্যা হবে!’

আম্পায়ারিংয়ের চেয়ে তামিমের প্রশ্নটা বেশি বোলিং অ্যাকশন নিয়ে। যদিও তামিম মনে করছেন চলতি আসরে বিসিবি এই ব্যাপারে কঠোর ভূমিকাতে অবস্থান করছে, ‘আম্পায়রিং না। আমার কাছে মনে হয় কিছু কিছু বোলাররা এমন অ্যাকশনে বোলিং করছে, যেভাবে করে আমাদের লিগে খেলা উচিত না। আম্পায়াররা রিপোর্টও দিচ্ছে। বিসিবি কয়েকজনের বিরুদ্ধে অ্যাকশনও নিয়েছে। আমি এটাই বলব কিছু বোলারদের অ্যাকশনের উপর এটা খেয়াল রাখা উচিত। আমার মনে হয় এই ব্যাপারে আরও কঠোর হওয়া উচিত।’

/আরআই/এফএইচএম/