মুশফিকের ব্যাটিং তাণ্ডবে চিটাগংয়ের জয়

মুশফিকুর রহিম দারুণ ইনিংস খেলেছেনদীর্ঘ ভ্রমণ ক্লান্তি নিয়েও বিপিএলে নেমেই ঝড় তুলেছিলেন থিসারা পেরেরা। তাতে চিটাগং ভাইকিংসকে ১৮৫ রানের টার্গেট দিয়ে হয়তো ফুরফুরে ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কিন্তু শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডারকে জবাব দিলেন মুশফিকুর রহিম। তার ব্যাটিং তাণ্ডবে টানা দ্বিতীয় জয় পেল চিটাগং।

২ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের এই জয়ে টেবিলের দুই নম্বরে উঠে গেল চিটাগং। চার ম্যাচে এটি তাদের তৃতীয় জয়।

মিরপুরে আগে ব্যাট করতে নেমে থিসারার ২৬ বলে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস ছিল দেখার মতো। তার ৩ চার ও ৮ ছয়ে গ্যালারিতে ছিল দর্শকদের বাধভাঙা উল্লাস। এই লঙ্কানের ব্যাটে ৫ উইকেটে ১৮৪ রান করে কুমিল্লা। এরপর মুশফিকের ৪১ বলে ৭৫ রানের ম্যাচসেরা ইনিংসে ১৯.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান করে চিটাগং।

বড় লক্ষ্যে নেমে মারকুটে শুরুর বিকল্প ছিল না চিটাগংয়ের সামনে। মোহাম্মদ শাহজাদের ঝড়ে প্রত্যাশিত শুরু করে তারা। ৫.২ ওভারে ৫৮ রানের জুটি ভাঙে ক্যামেরন ডেলপোর্টের বিদায়ে। ইয়াসির আলী ৪ রানে থিসারার প্রথম ওভারে আউট হন। দিনটা শ্রীলঙ্কার এই অলরাউন্ডারের হওয়ার ইঙ্গিত ছিল। কিন্তু হতে দেননি মুশফিক।

চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন চিটাগং অধিনায়ক। নবম ওভারের প্রথম বলে শাহজাদ ৪৬ রানে শহীদ আফ্রিদির শিকার হয়। আফগান ওপেনারের ২৬ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও দুটি ছয়। এরপর মুশফিক ৪৭ রানের জুটি গড়েন নাজিবউদ্দৌলা জাদরানকে নিয়ে।

আফগান ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে জুটিতে লড়াই চালিয়ে যান মুশফিক। কিন্তু ১৯তম ওভারের প্রথম ও শেষ বলে দুজনকে বিদায় করে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অবশ্য দুটি নো বল ও ফ্রি হিটে ওই ওভারে ১৭ রান দেন কুমিল্লা পেসার।

মুশফিক ৪১ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৭৫ রান করে আউট হন। শেষ ওভারে ৭ রান দরকার হলে রবি ফ্রাইলিঙ্কের ছয়ে চতুর্থ বলে জয় নিশ্চিত করে চিটাগং। সাইফউদ্দিন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন কুমিল্লার হয়ে।

ঢাকায় প্রথম পর্ব শেষ। চার ম্যাচের সবগুলো জিতে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ঢাকা ডায়নামাইটস। সমান খেলে ৬ পয়েন্টে দ্বিতীয় চিটাগং। ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রংপুর রাইডার্স। কুমিল্লা ও রাজশাহী কিংস ৪ ম্যাচে সমান ৪ পয়েন্ট পেয়ে চার ও পাঁচে। সিলেট সিক্সার্স ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ, আর খুলনা ৪ ম্যাচেও জয়হীন থেকে সবার শেষে।