প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে ব্রড বলেছেন, ‘আমার মনে হয় আমরা অন্তত চট্টগ্রামের কন্ডিশনটা মনিয়ে নিতে পেরেছি। সকালে যখন মাঠে এলাম তখনও আমরা জানতাম না খেলা হবে কিনা, কারণ গত চারদিনে চট্টগ্রামে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। অনিশ্চয়তা নিয়েই মাঠে আসি আমরা।’
মাঠ নিয়ে খুবই শঙ্কিত এই পেসার, ‘মাঠটা ফুটবলের জন্য ব্যবহার করা হয়, এটি ক্রিকেটের জন্য মোটেও উপযোগী নয়। মাঠটা অসমতল তো বটেই কোথাও কোখাও রয়েছে বালুর স্তর। আমরা আগেই চিন্তা করে রেখেছিলাম ৪৫ ওভার স্পিনার দিয়ে করাবো, কারণ পেসারদের রান-আপের জায়গাটা ছিল ভেজা। আশা করি কাল দুই দিনের ম্যাচে পেসাররা দৌড়ানোর কন্ডিশনটা পাবে। আমাদের মেডিক্যাল স্টাফরা খুবই শঙ্কিত ছিল পেসারদের নিয়ে, কারণ এ ধরণের মাঠে বল করলে পেসারদের কাফ মাসলে ইনজুরি হওয়ার সম্ভবানা খুব বেশি থাকে।’
সঙ্গে তিনি স্বীকার করেছেন কঠিন সময় পার করতে হয়েছে তাদের, ‘পেসারদেন জন্য কন্ডিশনটা কঠিন। প্রথমত স্পিনাররা যখন অন্য প্রান্তে বল করে তখন বেশি সময় বিশ্রাম পাওয়া যায় না। আজ আমাদেরকে চার ওভারের স্পেলে ব্যবহার করা হয়েছে, কাল হয়তো ব্যবহার করা হবে ছয় ওভারের স্পেলে। গরমটা আমাদের জন্য বেশিই।’
বেন ডাকেট ও হাসিব হামিদকে নিয়ে আশাবাদী ব্রড, ‘ আমি বেন ডাকেট ও হাসিবকে নিয়ে খুবই আশাবাদী। দুজনই উঁচু মানের ব্যাটসম্যান। বিশেষ করে ডাকেট, অসাধারণ ব্যাটসম্যান। আর হাসিব হামিদ আমাদের নতুন জেনারেশনের প্রতিনিধি। আমার মনে হয় বাংলাদেশের কন্ডিশনে সে খুবই উপযোগী একজন খেলোয়াড়।’
অ্যালিস্টার কুককে খুব করে দলে চাইছেন ব্রড, ‘আমি জানি না কুক কখন আসবে, তবে সে এখানে আসার ব্যাপারে খুবই প্রতয়ী। আজ সকালেও তার সাথে আমার কথা হয়েছে। তবে পরিবার সবার আগে, পরিবারের প্রয়োজনে যদি সে না আসতে পারে তবে ভিন্ন কথা। আমি আশা করি কুক সময় মতো চলে আসবে।’
/আরএম/কেআর/