এছাড়া ওয়ানডের পর টেস্টেও দুই বছর পর ফিরেছেন শফিউল ইসলাম। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। রবিাবর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড ও বিসিবি একাদশের মধ্যকার দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে চট্টগ্রাম টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
স্কোয়াডে চলতি বছরে যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেলেন। ৪০.৩০ গড়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মিরাজের সংগ্রহ ৫২৪ রান। সেঞ্চুরি না পেলেও এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ৫টি হাফসেঞ্চুরি।
মুশফিকের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে সর্বশেষ স্কোয়াডে ছিলেন লিটন কুমার দাস। এবার তার পরিবর্তে প্রথমবারের মতো সাদা পোষাকে সুযোগ পেয়েছেন তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। ওয়ানডে ও টেস্ট অভিষেক না হলেও সোহান ইতোমধ্যে জাতীয় দলের জার্সিতে ৬ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। এখন পর্যন্ত ৪৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে নুরুল হাসান ৪১.৮১ গড়ে ২৪২৫ রান করেছেন। ৫টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি তার রয়েছে ১৩টি হাফসেঞ্চুরি।
এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে কয়েকবছর ধরে ভালো পারফরম্যান্স করা কামরুল ইসলাম রাব্বিও সুযোগ পেয়েছেন চট্টগ্রাম টেস্টে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রাব্বি ৪৭ ম্যাচে ১০৩ উইকেট নিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান রুম্মনকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে এই টেস্টে। সাব্বির বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান হলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার গড় ভালো। ৩৪.৭১ গড়ে ৩ সেঞ্চুরি ও ৮ হাফসেঞ্চুরিতে তার সংগ্রহ ১৮৪০ রান।
উল্লেখ্য, এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ স্কোয়াড থেকে দলে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এসেছে। ইনজুরির কারণে ইংল্যান্ড সিরিজ পুরোটাই মিস করেছেন মুস্তাফিজ। স্বাভাবিকভাবেই তিনি নেই টেস্ট সিরিজে। এছাড়া গত বছর বাংলাদেশের হয়ে সবগুলোই টেস্ট খেলা শহীদও ছিটকে গেছেন ইনজুরির কারণে। বাদ পড়েছেন পেসার রুবেল হোসেন, নাসির হোসেন, জুবায়ের হোসেন লিখন ও লিটন কুমার দাস।
চট্টগ্রাম টেস্টের স্কোয়াড : মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক সৌরভ, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নুরুল হাসান সোহান, শফিউল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, সৌম্য সরকার, শুভাগত হোম চৌধুরী, মেহেদী হাসান মিরাজ, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও সাব্বির রহমান রুম্মন।
/আরআই/এফআইআর/