অন্যরকম চ্যালেঞ্জ দেখছেন সাকিব

অন্যরকম চ্যালেঞ্জ দেখছেন সাকিব বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত বছর জুলাইয়ে।  এরপর প্রায় ১৪ মাস পর আবারও সাদা পোষাকে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মুশফিক-সাকিবরা। কারণ বৃহস্পতিবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইংলিশদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তাই এতোদিন পর টেস্ট ক্রিকেট খেলবে বলেই ভয়-শঙ্কা উঁকি মারছে বাংলাদেশ শিবিরে। সবার প্রায় একই প্রশ্ন, ভুলতে যাওয়া টেস্ট ক্রিকেটে কেমন খেলবে বাংলাদেশ?

সাকিব অবশ্য এতো বড় বিরতিকে নেতিবাচক মনে করলেও শোনালেন আত্মবিশ্বাসের কথা। ইংলিশদের বিপক্ষে তাই এই সিরিজটাকে অন্যরকম একটি চ্যালেঞ্জ বলেই আখ্যায়িত করলেন, ‘আত্মবিশ্বাস কতটুকু সেটা ম্যাচে গেলেই বোঝা যাবে। এখন পর্যন্ত আমরা সবাই প্রস্তুতিটা ভালোভাবে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা যেহেতু অনেকদিন টেস্ট ম্যাচ খেলি না-এটা একটি মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। সত্যি কথা বলতে, এখানে খুব বেশি প্রস্তুতির কিছু নেই। মানসিক দিক থেকে যতবেশি ঠিক থাকা যাবে, আমাদের জন্য সেটাই ভালো হবে।’

সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার দশ বছর। আর এই দশ বছরে সাকিব নিজেই তিনবার লম্বা বিরতিতে পড়েছেন। তাইতো আক্ষেপ করে বললেন, ‘১০ বছর খেললাম এইরকম তিনবার হয়েছে। ক্যারিয়ার থেকে তিন বছর উধাও! নতুন নতুনতো লাগেই। অনেকদিন না খেললে, একটা শূন্যতা তৈরি হয়। আশা করি প্রস্তুতিটা ভালোভাবে শেষ করতে পারবো। কালকে আরও একটা দিন রয়েছে। টেস্টই যেহেতু আসল ক্রিকেট; তাই সবাই রোমাঞ্চিত।’

দশমাস পর আফগানিস্তান সিরিজ দিয়েই ওয়ানডে খড়া কাটিয়েছিল টাইগাররা। ১৪ মাস পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই টেস্ট খড়া কাটাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অনেকদিন পর ওয়ানডে সিরিজ খেলায় কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। যদিও টেস্ট সিরিজে সাকিব দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, ‘আমরা ওয়ানডেই খেললাম এক বছর পর। ওটাও মানিয়ে নিতে প্রথম দুই-তিন ম্যাচ সময় লেগেছিল। আশা করবো সময় লাগবে না। তারপরও বলা মুশকিল, অনেকক্ষণ ধরে বোলিং করা, অনেকক্ষণ ধরে ব্যাটিং করা সবকিছুই আসলে অন্যরকম। আমার কাছে মনে হয়ে, এটা অন্যরকম একটা চ্যালেঞ্জ।’

/আরআই/এফআইআর/