সাব্বির-তাইজুল-শফিউলেই স্বপ্ন বাংলাদেশের

সাব্বির-তাইজুলমাত্র ৩৩ রান। এই পথটা পাড়ি দিতে পারলেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন এক ইতিহাস রচনা হবে। আর এই ইতিহাস রচনার কারিগর হচ্ছেন কে-কাল সকালেই মিলবে উত্তর।

আপাতত এই দায়িত্বটা তিন জনের কাঁধে। বিশেষকরে সাদা পোশাকে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে তাইজুল-শফিউলকে গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে। ক্রিজে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান বলতে কেবল একজনই আছেন। তিনি সাব্বির রহমান রুম্মন, যিনি ৫৯ রান নিয়ে অপরাজিত।

চট্টগ্রামের উইকেট শুরু থেকেই ব্যাটসম্যানদের ভোগাচ্ছিল। সময় যত গড়াচ্ছে উইকেট থেকে ততোটাই টার্ন পাচ্ছেন বোলাররা। বিশেষকরে ম্যাচের তৃতীয় ও চতুর্থ দিনে উইকেটের অবস্থা ভয়াবহ রকমের খারাপ! ব্যাটসম্যানরা সেট হয়ে একটুখানি ভুলে আউট হয়ে যাচ্ছেন। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে তামিম তো এককথায় বলেই দিলেন এমন উইকেটে সেট ব্যাটসম্যানদেরও টিকে থাকা কঠিন! যার উৎকৃষ্ট উদহারণ শেষ সেশনে মুশফিকের বিদায়।

সোমবার চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিন। এই টেস্টর ভাগ্য নির্ধারণ প্রথম সেশনের প্রথম ঘন্টাতেই হয়ে যাচ্ছে-এটা বলে দেওয়াই যায়। ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চিয়তার খেলা বলেই কে জিতবে বলা মুশকিল।

যদিও পরিসংখ্যান বাংলাদেশকে খুব বেশি সাহস দিতে পারছে না। তারপরও হাথুরুসিংহে আশাবাদী বাংলাদেশ জিতবে। তাইজুল-শফিউল মোটামুটি ব্যাটিং করতে পারেই বলে ভরসা বাংলাদেশ শিবিরে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে অপরাজিত থাকা সাব্বির সোমবার সকালে কি করেন-কোটি ক্রিকেটভক্ত মুখিয়ে আছে তা দেখতে।

অবশ্য সাব্বিরকে নিয়ে ভিন্ন পরিকল্পনা আটবে ইংলিশরা এটাই স্বাভাবিক। ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড সংবাদ সম্মেলনে এসে সরাসরি বললেন সাব্বিরকে সোমবার চাপে ফেলার সব রকম চেষ্টাই তারা করবেন।

বাংলাদেশ যদি এই টেস্ট জিতে তবে অনেক হিসাব-নিকাশ পাল্টেই জিততে হবে। ৩০০ কিংবা এর কাছাকাছি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড খুব একটা নেই টেস্ট ক্রিকেটে। এমন উইকেটে তাই বাংলাদেশ জিতলে তাদের ঝুলিতে অনেক কিছুই যোগ হবে।

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করে জিতেছে। যার একটি ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিপক্ষে এবং অন্যটি ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গ্রেনাডায় বাংলাদেশ জিতেছিল ৪ উইকেটের ব্যবধানে। সাকিব আল হাসানের অনবদ্য অপরাজিত ৯৬ রানে ৪ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।

অন্যদিকে রান তাড়া করে সর্বশেষ ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ২০১৪ সালে মিরপুরে। ওই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। ১০১ রানের সহজ লক্ষ্যের বিপরীতে বেশ কষ্ট করেই জিততে হয়েছিল টাইগারদের।

সোমবার হয়তো এই দুটি ম্যাচ থেকে প্রেরণা খুঁজে নেবে টাইগাররা। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা করবে-এমনটাই প্রত্যাশা করছেন ক্রিকেট ভক্তরা।

/আরআই/কেআর/