রিভিউ নিয়ে মুশফিকের আফসোস

বাংলাদেশ-1পঞ্চম দিনে যখন বাংলাদেশ মাঠে নামে তখন জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩৩ রান, হাতে দুই উইকেট। শুরুটা অবশ্য খারাপ ছিল না। প্রথম দুই ওভারেই বেশ কিছু রান যোগ হয় স্কোরবোর্ডে। হঠাৎ করেই স্টোকসের বলে তাইজুলের বিপক্ষে এলবিডাব্লিউয়ের আবেদন উঠে। আম্পায়ার অবশ্য ইংলিশ ফিল্ডারদের এই আবেদনে সাড়া দেননি। এরপর ইংল্যান্ড রিভিউ চাইলে সেটা ইংলিশদের পক্ষে যায়। ফিরে যান তাইজুল ব্যক্তিগত ১৬ রান নিয়ে। এক বল ফিরে যান শফিউলও সেই স্টোকসের বলেই। শফিউল স্টোকসের তৃতীয় বলটি না খেলেই প্যাডআপ করেন। সঙ্গে সঙ্গে আঙুল তুলে দেন ফিল্ড আম্পায়ার। বাংলাদেশ রিভিউ চাইলে এটাও ইংলিশদের পক্ষে যায়।

এই রিভিউগুলো একটু এদিক-সেদিক হলেই ম্যাচটার ফল ভিন্ন হতে পারতো। ম্যাচ শেষে ঠিক এমনটাই জানালেন মুশফিকুর রহিম, ‘হারের মধ্যেও অনেক সময় অন্যরকম একটা অনুভূতিও থাকে। অনেক সময় ভাগ্য পক্ষে আসে না। রিভিউটা যদি একটু এদিক-সেদিক হতো, তাহলে ম্যাচটা হয়তো অন্যরকমও হতে পারত।’

চট্টগ্রাম টেস্টে ১৩ সেশনে ২৬টি রিভিউ হয়েছে। যার বেশিরভাগ সিদ্ধান্তই ইংল্যান্ডের পক্ষে গেছে। বাংলাদেশ খুব একটা সাফল্য পায়নি এই পদ্ধতিতে।

এ প্রসঙ্গে মুশফিক বলেছেন, ‘রিভিউর ফল হওয়ার পর এটা বিবেচনা করাটা কঠিন। এমনও হতে পারত, আজকে সিদ্ধান্ত দুইটি আমাদের পক্ষেও আসতে পারতো। দেখা গেল আমরা জিতে গেলাম ওরা হয়তো অভিযোগ করতো। হকআই পদ্ধতি আমাদের হাতে নেই। এটা কখনও কারও পক্ষে যাবে, কখনও বিপক্ষে যাবে।’

ভবিষ্যতে ডিআরএস চালু থাকবে কিনা জানতে চাইলে মুশফিক বলেছেন, ‘ডিআরএস যে কারও পক্ষে কিংবা বিপক্ষে যেতে পারে। আমরা কয়েকটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেটা আমাদের পক্ষে গেছে। অনেক সময় তারা আউট দেয়নি, এটা হতেই পারে। এমন কিছু সিদ্ধান্ত হবে। ভবিষ্যতে আমরা চেষ্টা করব, সেরা কাজগুলোই করতে। যেন আমাদের পক্ষে থাকে।’

/আরআই/কেআর/