ডিআরএস-এ ইংল্যান্ডের জয়জয়কার!

21DRSচট্টগ্রামে শেষ হওয়া বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্টে রেকর্ড ২৬টি রিভিউ নিয়েছে দুই দল। যা নিয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্বেই চলছে নানা আলোচনা। চলছে ইংল্যান্ডেরই জয়জয়কার! কারণ প্রথম টেস্টে ব্যয়বহুল এই প্রযুক্তির পুরো লাভটাই তুলে নিয়েছে সফরকারী ইংল্যান্ড!

বিসিবি সূত্রে জানা গেলো, চলতি বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজে তিনটি একদিনের ম্যাচ ও দুটি টেস্টের ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা ডিআরএস-এর ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৭৩ লাখ টাকা। আর শুধু মাত্র ম্যাচ ডে-তেই ডিআরএস-এর খরচ ধরা হয়। সে হিসেবে তিনটি একদিনের ম্যাচ ও দুটি টেস্টের দশ দিনসহ মোট ১৩ দিনের জন্য খরচ দিন প্রতি সাত হাজার ডলার করে মোট ৯১ হাজার ডলার বা ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

বাংলাদেশের ডিআরএস-এ অন্তর্ভুক্ত আছে হক আই যা দিয়ে পুনঃনিরীক্ষন করা হয় লেগ বিফোর উইকেটের সিদ্ধান্ত। সঙ্গে আছে আল্ট্রা এজ; যা দিয়ে পরীক্ষা করা হয় ব্যাটের কোনায় বল লাগার বিষয়টি।

লাভের বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায় ঠিক এভাবে-ইংল্যান্ড মোট ১৩ টি রিভিউ নিয়ে সাতটিতে সফল হয়েছে আর  ১৫ মাস পর প্রথম টেস্ট খেলা বাংলাদেশ নিয়েছে মোট ১৩টি রিভিউ। যার মাঝে মাত্র চারটিতে সফল ছিল মুশফিক বাহিনী।

সাধারণত স্পিন সহায়ক পিচেই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত দিতে হিমশিম খান আম্পায়াররা। যার ব্যতিক্রম হয়নি চট্টগ্রামেও। ডিআরএস-এর কারণে স্পিনারদের বিপক্ষে বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের খেলার কৌশলে এখন আনতে হচ্ছে বিশাল পরিবর্তন। বিশেষ করে অতীতে ফ্রন্ট ফুটে ফরোয়ার্ড খেললে আর ব্যর্থ হয়ে বল প্যাডে লাগলে অধিকাংশ সময়েই ব্যাটসম্যানরা সুবিধা পেয়েছেন। কারণ আম্পায়ারদের ভাবতে হতো এতো দূর থেকে বল উইকেটে লাগবে কিনা। এখন আর ব্যাটসম্যানরা সে সুবিধা পাচ্ছেন না। কারণ হক-আই দেখিয়ে দিচ্ছে বল উইকেটে আঘাত করবে কি করবে না।

তথ্যের আরেকটি বিষয় হলো হক আই ও আল্ট্রা এজ ইংল্যান্ডেরই উদ্ভাবন এবং বাংলাদেশ সফর শেষ করেই ইংল্যান্ড উড়ে যাবে ভারতে।  সেখানে রয়েছে পাঁচ টেস্টের সিরিজ আর প্রথমবারের মতো ভারতও ডিআরএস ব্যবহার করছে এই সিরিজে। সে হিসেবে বাংলাদেশ সিরিজে ইংল্যান্ড ডিআরএস অন্তর্ভুক্ত করেছে এই ভেবে যে এটিও তাদের একটি ওয়ার্ম-আপ। কারণ কোন সময় এটি নিতে হবে সেটিও ডিআরএস ব্যবহার করার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আর সেটিতেই অভ্যস্ত হচ্ছে ইংলিশরা। সেই সঙ্গে তাদের লাভের আরেক দিক হলো এখানে ব্যয়ের অর্থটা পাচ্ছে হক আই ইনোভেশনস লি.- যেটি ইংল্যান্ডেরই প্রতিষ্ঠান!

/আরএম/এফআইআর/