রিভার্স সুইং নিয়েও ভাবছেন মুশফিক

রিভার্স সুইং নিয়েও ভাবছেন মুশফিকচট্টগ্রাম টেস্টে রিভার্স সুইং ভুগিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও বেন স্টোকসের রিভার্স সুইংগুলো ঠিকভাবে খেলতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এছাড়া পুরনো বলে ইংল্যান্ডের পেসাররা রিভার্স সুইং দিতে পারলেও বাংলাদেশের পেসাররা পারেনি তাদের বল রিভার্স করাতে। আর তাইতো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে রিভার্স সুইং নিয়ে যত ভাবনা। কীভাবে এই বলটাকে ঠিকমতো খেলা যায় কিংবা বোলাররা কীভাবে পুরনো বলে এটা ব্যবহার করতে পারে-সেইসব আলোচনা হয়েছে টিম মিটিংয়ে।

প্রথম টেস্ট থেকে বিষয়গুলো অনুধাবন করছেন মুশফিক। ঢাকা টেস্টে এগুলো কাজে লাগানোর ব্যাপারে মনোযোগী থাকবেন বলেও জানান টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, ‘প্রথম টেস্ট থেকে আমরা সেটা শেখার চেষ্টা করছি।  অনেকদিন পর এরকম মানের বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলেছি। বিশ্বের খুব কম ব্যাটসম্যানই আছে যে রিভার্স সুইংয়ে ভালো খেলে। আমাদের জন্য সেটা বড় শিক্ষা ছিল। আমাদের টেল এন্ডারদের জন্যও। আমরা চেষ্টা করব যেন টেল এন্ডারদের খেলতে না হয়।  যাতে করে বেশিরভাগ রানটুকু টপ অর্ডাররাই করতে পারে।’

চট্টগ্রাম টেস্টে ৮০ ওভার পর্যন্ত ইংলিশরা বলের উজ্জলতা বজার রাখার চেষ্টা করতো।  কিন্তু বাংলাদেশের বেলায় বেশ আগেই বলটা পুরনো হয়ে যেত। তাই ঢাকা টেস্টে বল মেইনটেইনের দিকেও মনোযোগ দেবেন বলে জানালেন মুশফিক, ‘বল মেইনটেইন না করলে কাজটা কঠিন হয়ে পড়ে। স্পিনারদেরও হেল্প করে এটা। কারণ একদিকে ভালো উজ্জ্বলতা থাকলে বল গ্রিপ করা যায়, স্কিড করে। তাই বল মেইনটেইন করার চেষ্টা করব আমরা।’

ঢাকা টেস্টের স্কোয়াডে যে দুইজন পেসার আছেন। এদের মধ্যে একজনের একটিমাত্র ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অন্যজন অভিষেকের অপেক্ষোয় আছেন। ঢাকা টেস্টে পেসারদের নিয়ে প্রত্যাশা কী থাকবে জানতে চাইলে মুশফিক বলেছেন, ‘আমরা যেভাবে এক-দেড় বছর পরপর খেলি, সেক্ষেত্র কাজটা কঠিন। বিশেষ করে পেসারদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে যায়। এখন ইনজুরির কারণে অনেকে নেই। অভিজ্ঞ হলেই যে ভালো করবে, সেটার নিশ্চয়তা নেই। আমরা চেষ্টা করব সঠিক কম্বিনেশন গড়ার। আউটকাম ভালো হলে তো ভালো। ভালো না হলেও আমরা ওদের সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করব।’

/আরআই/এফআইআর/