আফসোস নেই মাশরাফির

আফসোস নেই মাশরাফিরচতুর্থবারের মতো শিরোপা জেতার স্বপ্ন নিয়েই দল গঠন করেছিলেন মাশরাফি। কিন্তু ১২ ম্যাচে মাত্র ৫ জয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে তারকা এই ক্রিকেটারকে। এই নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ নেই গতবারের তিন আসরে বিভিন্ন দলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে নেওয়া মাশরাফির।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন উঠতেই একগাল হেসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের অধিনায়ক জানালেন, ‘এবার দেখে শান্তি পাবো। শেষ তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। অবশ্যই ভালো লেগেছে। এবার আমাদেরই সতীর্থ কেউ হবে। এখানে আফসোসের কিছু নেই। এ ধরনের টুর্নামেন্টে এমনই হয়। আর অবশ্যই উপভোগ করবো। বিশেষ করে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচটি। ‍তিনটি সেমিফাইনাল হবে, একটা ফাইনাল হবে। পুরোটাই উপভোগ করব।’

বিপিএলের তৃতীয় আসরে নতুন দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। সেই দলে অধিনায়কের দায়িত্বটা ছিল বাংলাদেশের সীমিত ওভারের ম্যাচের অধিনায়ক মাশরাফির কাঁধে। সেবার চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে কুমিল্লার কর্ণধারসহ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন মাশরাফি। এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন; মাশরাফি একা এলেন।

ঘুরে ফিরে তাই প্রশ্নটা আবারও এলো। গতবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে এসেছিলেন। এবার শেষ ম্যাচ জিতে কেমন পার্থক্য অনুভব করছেন, ‘খুব ভালো। গত আসরের মতো সব সময় হবে না। তবে অনুভূতি একই, সেবারও জিতে এসেছিলাম, এবারও জিতেই এসেছি। আমরা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছি। তবে ভালো লাগছে যে আমরা অন্তত শেষ দিকে এসে জয়ের ধারায় ফিরতে পেরেছি। শুরু থেকে আমরা টুর্নামেন্টে কোথাও ছিলাম না। আমরা পাঁচ-ছয়টা ম্যাচ পর্যন্ত সবার নিচে ছিলাম। শেষ পর্যন্ত ছয়ে শেষ করলেও ১০টা পয়েন্ট নিয়ে শেষ করতে পেরেছি। আমি মনে করি, খেলোয়াড়দের সবারই খুব ভালো লাগছে।’

ঢাকার প্রথম পর্বে একটি ম্যাচ জেতার পর চট্টগ্রামে গিয়ে ভাগ্য বদলাতে পারেনি কুমিল্লা। তবে ঢাকার শেষ পর্বে এসে জয়ের ধারায় ফিরেছে দলটি। শেষ চারটি ম্যাচের সবগুলোই জিতেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। আরও একটি ম্যাচ জিতলেই সেরা চারে যাওয়া যেত। তাই এ নিয়ে কোনও আফসোস কাজ করছে কিনা-এমন প্রশ্নে মাশরাফি বলেছেন, ‘এটা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, একটা জিততে পারলে হতে পারতো। আবার দেখা যেতো ওখানে একটা জিতলে, এখানে চারটা জিততাম না। আফসোস করে তো কোনও লাভ নেই। যেটা ছিলো সেটাই হয়েছে। আমরা পারিনি এটা অবশ্যই হতাশার।’

/আরআই/এফআইআর/