গেইল রান না পেলেই খুশি হন তামিম!

গেইল রান না পেলেই খুশি হন তামিম!চার ম্যাচে মিরপুরে সেভাবে তাণ্ডব চালাতে পারেননি ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬৫ রান। ক্যারিবিয়ান সতীর্থের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ না হয়ে বরং খুশি হয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল!
অবশ্য তামিমের এমন আচরণে অবাক হওয়ারই কথা। যার পেছনে রয়েছে এক রহস্য। কী সেই রহস্য? সোমবারই সেই রহস্য উন্মোচন করলেন চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম ইকবাল, ‘গেইল রান পায়নি বলে যে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি তা নয়। আমি জানি, যে কোনও মুহূর্তে এমন একটা ইনিংস খেলবে যেটা ম্যাচকে একপেশে করে দেবে। এই দিক থেকে আমি খুশি যে গত চার ম্যাচে সে খুব বেশি রান করেনি। আশা করবো যে পরের ম্যাচ গুলোতে এক-দুইটা বড় পারফরম্যান্স দিয়ে তার সামর্থ্য প্রমাণ করবে। তাহলে আমাদের জন্য কাজটা খুব সহজ হবে।’

গেইল সাধারণত পুরো টুর্নামেন্টে দুই-একটি বড় ইনিংস খেলেন। আর যেদিন তিনি বিস্ফোরক ব্যাটিং করেন, সেদিন প্রতিপক্ষ দলের জন্য দুঃস্বপ্ন অপেক্ষা করে। ওই ভাবনা থেকেই তামিম মূলত গেইলের আগের পারফরম্যান্সে হতাশ হননি। কারণ তিনি জানেন শেষ কয়েক ম্যাচেই আসল গেইলকে দেখা যাবে!

চার ম্যাচ আগে গেইল চিটাগং ভাইকিংসের তাবুতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শক্তি বেড়েছে দলটির। তারপরও তামিম সতীর্থদের বার্তা দিয়েছিলেন, যাতে করে কেউ গেইলের ছায়ায় ঢেকে না যায়। আর সতীর্থরা তামিমের বার্তা অক্ষরে অক্ষরেই মেনে চলেছেন। আর তাতেই সাফল্য ধরা দিয়েছে চিটাগং শিবিরে, ‘যখন ক্রিস গেইলের মতো কোনও খেলোয়াড় দলে আসে তখন ফোকাসটা তার দিকে ঘুরে যায়। আমি কখনও এটা চাইনি যে আমাদের খেলোয়াড়দের ফোকাসটা ওর দিকে ঘুরে যাক। তাহলে হয়কি, এমন একজন খেলোয়াড় যখন রান না করে তখন দল মানসিকভাবে অনেকটা ভেঙে পড়ে। এই জিনিসটা আমাদের মধ্যে হয়নি। ও হয়তো ওর মতো অতটা ভালো খেলতে পারেনি। কিন্তু অন্যরা যারা ছিল, তারা চেষ্টা করেছে।’

গেইল আসার আগে দলের নিয়মিত ক্রিকেটার ছিলেন আরেক ক্যারিবিয়ান ডোয়াইন স্মিথ। বাদ পড়ার আগের ম্যাচে ৭০ প্লাস ইনিংস খেলেছেন। তারপরও বাদ পড়তে হয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত বেশ কঠিন ছিল বলে জানান তামিম, ‘স্মিথ ৭০ রান করেও পরের ম্যাচে খেলতে পারেনি। কারণ, আমরা চারজন বিদেশি খেলোয়াড়ই খেলাতে পারি। ক্রিস যখন এসেছে তখন স্বাভাবিকভাবে আমরা ক্রিসের সঙ্গেই যাব। জিনিসটা ও(ডোয়াইম স্মিথ) ভালোভাবে নিয়েছে, ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে, ক্রিস আরও বেশি বিপজ্জনক।’

সতীর্থদের দৃঢ়তায় খুশি তামিম আরও জানালেন, ‘যেভাবে আমরা দৃঢ়তা দেখিয়েছি, প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটাতে হার, সেখান থেকে টানা ৫ ম্যাচ জেতা- এটা আমাদের কাছ থেকে কেউ নিয়ে যেতে পারবে না। দলে যখন দৃঢ়তা দেখানোর দরকার ছিল, দল তখন সেটা দেখিয়েছে। এখন একটা পরিস্থিতি, যেখানে আমরা যদি ভালো খেলি এগিয়ে যাবো। না খেললে আমি এটা ইতিবাচকভাবে, খুশি মনে মেনে নেব।’

/আরআই/এফআইআর/