রাজশাহীবাসীর বনভোজন আনন্দের হলো না

রাজশাহীর ম্যাচ ঘিরে আনন্দের কমতি ছিল না দর্শকদের মধ্যেএবার ‘দুরন্ত রাজশাহী’ বদলে ‘রাজশাহী কিংস’ হিসেবে শিরোপা লড়াই করেছে মিরপুরে। তাই রাজশাহী নগরীর বড় বড় মোড় ছাড়াও নিজ নিজ বাড়ির ছোট পর্দায় দেখছেন রাজশাহী ও ঢাকার মধ্যেকার ফাইনাল খেলা। সেই সাথে চলছে বিভিন্ন এলাকায় বনভোজনের আয়োজন। 

শরীরে শীতের গরম পোষাক। সেই পোষাকের ওপর রাজশাহী কিংসের জার্সি। এনিয়ে রাজশাহী নগরীর দড়িখড়বোনায় বড় পর্দায় বিপিএলের চতুর্থ আসরের ফাইনাল উপভোগ করেছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটপ্রেমী। শুধু তারা নয়, যেন পুরো রাজশাহীবাসীর চোখ ছিল টেলিভিশনের পর্দায়।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহী ও ঢাকার মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার কাছে হেরে রাজশাহী বিপিএলের এই আসরে রানার্সআপ হয়েছে। দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল নাম বদলে ফাইনালে উঠে আসা রাজশাহী কিংস চ্যাম্পিয়ন হয়ে রেশম নগরীতে ফিরে আসবে। কিন্তু সে আশা পূরণ হলো না রাজশাহীবাসীর। তবে শিরোপা না পাওয়ার হতাশাকে কাটিয়ে উঠে সামনের আসরের দিকে চোখ পদ্মাপাড়ের ক্রিকেটপ্রেমীদের।

শীতের মধ্যে রাজশাহীতে বড় পর্দায় বিপিএলের ফাইনাল খেলা উপভোগ করছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরাআগের বিপিএলে ফাইনালে উঠতে পারেনি রাজশাহী। কিন্তু এবার ‘দুরন্ত রাজশাহী’ বদলে ‘রাজশাহী কিংস’ হিসেবে শিরোপা লড়াই করেছে মিরপুরে। তাই রাজশাহী নগরীর বড় বড় মোড় ছাড়াও নিজ নিজ বাড়ির ছোট পর্দায় দেখছেন রাজশাহী ও ঢাকার মধ্যেকার ফাইনাল খেলা। সেই সাথে চলছে বিভিন্ন এলাকায় বনভোজনের আয়োজন। এমনই একজন ক্রিকেটপ্রেমী মমিন বাবু বলেন, ‘আমরা কয়েকজন বন্ধু চাঁদা তুলে খেলা দেখার পাশাপাশি বনভোজেন আয়োজন করেছি।’ নগরীর কেদুর মোড় এলাকার শামীম রহমান বলেন, ‘আমাদের রাজশাহী ফাইনালে খেলছে। উল্লাসের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বনভোজন করছি। তবে রাজশাহী চ্যাম্পিয়ন হলে বনভোজনের আয়োজনটা সার্থক হবে।’ শামীমের সেই উল্লাসটা উদযাপন করার ক্ষেত্রটা তৈরি করে দিতে পারেনি সাব্বির-ফরহাদ রেজারা।

এদিকে রাজশাহী নগরী নয়, পুরো জেলায় একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ, রাজশাহী কলেজের মতো বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবাসিক হলগুলোতে ফাইনাল খেলা উপভোগ করেছে। এসব হলগুলোতে আবার ঢোল নিয়ে রাজশাহী কিংসকে সমর্থন দিয়েছেন। অনেক আবার ঢাকা দলকেও সমর্থন দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের সংখ্যা খুব কম। কারণ ঢাকা থেকে রাজশাহীতে এসেছেন পড়ালেখার জন্য। তাই নিজের এলাকার দলকে তারা সমর্থন দিয়েছেন। এমনটাই জানালেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ও জয়হাটের ছেলে ইকরামুল হক।

নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার সাকি রহমান পথিক বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশেই শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়াম। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম না হওয়ায় আমরা সে আনন্দ থেকে বঞ্চিত। তারপরও এসব বড় পর্দায় খেলা দেখানোর কারণে আমরা বন্ধুরা অনেকে একসঙ্গে খেলা উপভোগ করছি। ’ অনেকটা ‘দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত’।

/এফএইচএম/