বোলারদের দাপটেই ম্যাচে ফেরত

গাজী আশরাফ হোসেন লিপুপেস ও স্পিন মিলিয়ে চমৎকার একটি সম্মিলিত আক্রমণ রচনা করেছে বাংলাদেশ দল এবং দিন শেষে চাপের মুখেই মাঠ ছেড়েছে নিউজিল্যান্ড। কন্ডিশন ও পিচের থেকে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাদের পেসারদের ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করে বিদেশের মাটিতে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের ওপর এত ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ নিতে এর আগে কবে দেখেছি মনে করতে পারছি না। প্রথম টেস্ট থেকে অনেক ভালো জায়গায় বল করে তাসকিন- কামরুল আরও কার্যকর ও থ্রেট বোলার হিসেবে নিজেদের উপস্থাপনা করেছেন এখানে। এই টেস্টে সুযোগ পাওয়া রুবেলও তার লাইন ও গতি দিয়ে প্রতিপক্ষের সমীহ আদায় করে নিয়েছেন।

কামরুল হাসান শুরুতেই প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছেন দুই উইকেট তুলে নিয়ে। প্রয়োজনের সময় তাসকিন ও মেহেদী দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ এক ব্রেক থ্রু। দিনের শেষ অংশে সাকিব তিন উইকেট নিয়ে খেলায় বাংলাদেশকে ভালোভাবে ফিরিয়ে এনেছেন।

নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের বল ছাড়ার কৌশল আমার বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে প্রতিকূল অবস্থায় ল্যাথামের ব্যাটিং কৌশল দৃষ্টি কেড়েছে। তামিমের ফিল্ড প্লেসিং ভালোই ছিল। তবে এমন পেস বোলিং সহায়ক উইকেটে তার পেস বোলারদের ওপর আস্থা রাখা উচিত ছিল। আজকে পেসারদের চমৎকার স্পেল দলনায়ক ও কোচের চোখ খুলে দেবে বলে বিশ্বাস করি।

বৃষ্টি ব্যাঘাত না ঘটালে দ্বিতীয় দিনেই আমাদের ব্যাট করার একটা সুযোগ তৈরি হতে পারতো। এখন তৃতীয় দিনের শুরুতেই অথবা প্রয়োজন হলে দ্বিতীয় নতুন বলেই দ্রুত সমাপ্তি টানা উচিত হবে।

দ্বিতীয় দিনে সুন্দর জায়গায় পেসাররা বল করেছে। তৃতীয় দিনে সেটা অব্যাহত রাখতে পারলে চমৎকার একটি সম্ভাবনা তৈরি হবে এই টেস্ট ম্যাচ থেকে জয়ের একটা মঞ্চ তৈরি করার। এই টেস্ট ম্যাচে যে, বোলাররা চালকের আসনে থাকবে তা বোঝা যাচ্ছে। তবে প্রত্যাশা থাকবে দ্বিতীয় ইনিংসে আমাদের ব্যাটসম্যানদের কাছে তারা যেন প্রথম ইনিংসের চেয়েও সফল হওয়ার চ্যালেঞ্জকে নিজেদের দিকে নিজেরাই ছুড়ে দেন।

/আরআই/এফআইআর/