পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন ওয়ার্নার। রবিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নিজেকে মেলে ধরতে সফল হন। উসমান খাজাকে নিয়ে এ ওপেনার ৯২ রানের জুটি গড়েন। এ জুটিতে মাত্র ৩৫ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন গত তিন ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করা ওয়ার্নার।খাজা ৩০ রানে হাসান আলির শিকার হলে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের কাছে দারুণ সঙ্গ পান অজি ওপেনার। দ্বিতীয় উইকেটে তারা ১২০ রানের জুটি গড়েন।
শতাধিক রানের জুটির পথে ওয়ার্নার ৯৮ বলে ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি করেন। এরপর আরও ২১ বল খেলে ইনিংস সেরা ১৩০ রানে আউট হন ওয়ার্নার। হাসানের বলে তিনি পেছনে ক্যাচ তুলে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ানের কাছে। ডানহাতি হাসানের তৃতীয় শিকার হন স্মিথ (৪৯), হাফসেঞ্চুরির জন্য ১ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
২১৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর ট্রাভিস হেড ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের শতরানের জুটি। দুইজনের ফিফটিতে দলীয় সংগ্রহটা বড় হতে থাকে অস্ট্রেলিয়ার।
হেড ৫১ রানে উইকেট দেন মোহাম্মদ আমিরকে। শেষ ওভারে ম্যাথু ওয়েড ও ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়েন হাসান। শেষ বলে ম্যাক্সওয়েল ৭৮ রানে আউট হন। হাসান ১০ ওভার বল করে ৫ উইকেট নিয়েছেন ৫২ রান দিয়ে।
মোহাম্মদ হাফিজ ৪০ ও শোয়েব মালিক ৪৭ রান করলেও মিডল থেকে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা অবদান রাখতে ব্যর্থ হন।
মূলত জাম্পা ও জোশ হ্যাজলউড পাকিস্তানের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান। জাম্পার ঘূর্ণি ও হ্যাজলউডের পেসে চিঁড় ধরে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপ। দুজনেই তিনটি করে উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে ২৬৭ রানে গুটিয়ে দেন। সফরকারীদের ইনিংসের আয়ু ছিল ৪৩.৫ ওভার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া- ৫০ ওভারে ৩৫৩/৬ (ওয়ার্নার ১৩০, হেড ৫১, ম্যাক্সওয়েল ৭৮, স্মিথ ৪৯; হাসান ৫/৫২)
পাকিস্তান- ৪৩.৫ ওভারে ২৬৭ (সারজীল ৭৪, মালিক ৪৭, হাফিজ ৪০; হ্যাজলউড ৩/৫৪, জাম্পা ৩/৫৫)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৮৬ রানে জয়ী
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচের সিরিজ অস্ট্রেলিয়া ৩-১ এ এগিয়ে
/এফএইচএম/