গত কয়েক মৌসুম ধরেই অসাধারণ খেলে চলেছেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তুষার ইমরান ও অলক কাপালি। দুজনই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আছেন একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে। দুই দিন আগে তুষার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৯,০০০ রান করেছেন প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে। তার আগে গত জাতীয় লিগে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েছিলেন অলক কাপলি। অবশ্য তিন ম্যাচ পরই সেই রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তুষার।
এমন সাফল্যের পরও কাপালী ও তুষার বিবেচনাতে নেই জাতীয় দলে। কাপালী সর্বশেষ ২০০৬ এবং তুষার সর্বশেষ ২০০৭ সালে টেস্ট খেলেছিলেন। তারপর আর কখনোই সাদা পোশাকে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামা হয়নি তাদের।
যদিও তরুণদের সঙ্গে জাতীয় দলে ফেরার লড়াইটা এখনও ভালোভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন এই দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। কিন্তু প্রধান নির্বাচক বলছেন উল্টো কথা। ঘরোয়া ক্রিকেটের মান ভালো হওয়ার কারণেই তারা রান করছে। বিশেষকরে বিকেএসপির মতো ফ্ল্যাট উইকেটে রান করাটা সহজ কাজ বলেই মনে করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
যদিও এই ধরনের ক্রিকেটারদের জন্য ‘এ’ দল কিংবা হাইপারফরম্যান্স দলের হয়ে সফর করার ব্যবস্থা না হওয়াতে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। তার ধারণা এই ধরনের সফরে খেলার ফলে জাতীয় দলে তারা খেলার মতো কতটা ফিট-সেই ব্যাপারে জানা সম্ভব হতো। নান্নু বলেছেন, “আমাদের ‘এ’ দলের সফর হচ্ছে না অনেকদিন ধরে। সেই সঙ্গে গত এক বছরে এইচপির কোনও প্রোগ্রাম নেই। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেই এখানে খেলোয়াড়গুলো আসে। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কিছু খেলোয়াড় কিছুদিন ধরেই অসাধারণ পারফরম্যান্স করছে। বিশেষকরে তুষার ইমরান ও অলক কাপালি। এদেরকে কিন্তু একটা প্লাটফর্ম আমাদের দিতে হবে। অবশ্যই এরা আমাদের নজরে আছে। বয়সের জন্য তাদেরকে আমরা আমাদের নজরের বাইরে নিয়ে যাইনি।” সঙ্গে যোগ করলেন, “ওদেরকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসতে হলে অবশ্যই ‘এ’ টিম কিংবা এইচপি টিমের হয়ে কোনও সফর করতে হবে। দেখতে হবে তাদের পজিশন কোথায়। তারা জাতীয় দলে খেলতে কতটা ফিট।”
প্রধান নির্বাচক একরকম নিশ্চিত করে দিয়েছেন আপাতত যত রানই করুন না কেন অলক-তুষাররা, তাদেরকে নিয়ে জাতীয় দলের ভাবনা নেই নির্বাচকদের, “এখন ২৪ জন খেলোয়াড়দের একটা পুল আছে। সেখান থেকেই আমরা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের বিবেচনা করছি। আমার মনে হয় ‘এ’ দলের সফরটা যদি আমরা তৈরি করতে পারি, তাহলে এই সব খেলোয়াড়কে সুযোগ করে দিতে পারব।’
/আরআই/কেআর/