ম্যাচসেরা সাকিব জেতালেন জালমিকে

ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে সাকিবব্যাট হাতে প্রথমে করলেন ৩০ রান, পরে বোলিংয়ে শিকার ২ উইকেট। সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে তার দল পেশাওয়ার জালমি পেয়েছে ১৭ রানের জয়। যে পারফরম্যান্স তাকে এনে দিয়েছে ম্যাচসেরার পুরস্কারও।

যদিও ব্যর্থ বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। সাকিব উজ্জ্বলতা ছড়ালেও তার পেশাওয়ার সতীর্থ তামিম আউট হয়ে যান ৫ রান করে। লাহোর কালান্দারসের বিপক্ষে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে অবশ্য পেশাওয়ার কামরান আকমল ও সাকিবের ব্যাটে ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরে জমা করে ১৬৬ রান। জবাবে লাহোর ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ১৪৯ রান।

১৭ রানের এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন সাকিব। ব্যাট হাতে যেমন, তেমনি বল হাতে। আমির ইয়ামিনের বলে মাত্র ৫ রান করে তামিম আউট হয়ে গেলে বিপদে পড়ে পেশাওয়ার। কামরান আকলের ব্যাটে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় তারা। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে আউট হন ৫৮ রান করে। ৪০ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ৯টি বাউন্ডারিতে। তার পর ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন সাকিব, বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডারের শুরুটা ধীরগতির হলেও পরে খোলস ভেঙে চড়াও হন লাহোরের বোলারদের ওপর। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ৩০ রানের কার্যকরী ইনিংস। সোহেল তানভিরের বলে সাকিব আউট হন উমর আকমলের হাতে ধরা পড়ে।

শহীদ আফ্রিদিও শুরু করেছিলেন তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে। যদিও ৬ বলে ১০ রান করে আউট হন তিনি। অধিনায়ক ড্যারেন সামি অবশ্য চালিয়েছেন তাণ্ডব, ৮ বলে অপরাজিত ছিলেন ১৭ রান করে। শেষ দিকে তার ঝড়েই পেশাওয়ার ইনিংস শেষ করে ১৬৬ রানে।

সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে পেশাওয়ারের স্পিনারদের সামনে খেই হারিয়ে ফেলে লাহোরের ব্যাটসম্যানরা। শুরু করেছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ, এর পর যোগ দেন সাকিব। বাংলাদেশি অলরাউন্ডার নিজের প্রথম ওভারের তিন বলের মধ্যে পান ২ উইকেট। নিজের প্রথম এবং ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে উমর আকমলকে (১) এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে খোলেন উইকেটের খাতা। দুই বল পর আবার উইকেট, এবার গ্র্যান্ট এলিয়টকে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরান একইভাবে। শুধু ‍উইকেট নয়, প্রথম ওভারটা সাকিব শুরু করেন মেডেন দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ২ ওভারে ১৪ রান দিয়ে সাকিব পান ২ উইকেট। ব্যাটের পর বল হাতের পারফরম্যান্স তাকে এনে দেয় ম্যাচসেরার পুরস্কার। ক্রিকইনফো

/কেআর/