হাম্বানতোতার পর ডাম্বুলায় তামিমের সেঞ্চুরি

তামিম ইকবালসিঙ্গেল নিয়ে ধীর ধীরে হেলমেট খুললেন তামিম। এরপর আকাশের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের দিকে ব্যাট উঁচিয়ে সেঞ্চুরি উদযাপন করলেন তামিম। ক্যারিয়ারের বিশেষ অর্জন সাধারণত ‘বিশেষ’ ভঙ্গিমায় উদযাপন করতে পছন্দ করেন তামিম, শনিবার তেমনটা দেখা গেল না।

ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন তামিম ইকবাল। লঙ্কানদের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তামিম। ২০১৩ সালে হাম্বানতোতায় সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। হাম্বানতোতা পর শনিবার ডাম্বুলায় পেলেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।  

লাহিরু কুমারার ৪৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি ফাইন লেগে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নেন তামিম। আর তাতেই ক্যারিয়ারের অষ্টম এবং লঙ্কানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ১২৭ বলে ১২ চারের সাহায্যে তামিম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। তার আগে ৭৬ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছান এই ওপেনার।

ওয়ানডে সংস্করণে সব মিলিয়ে তামিমের সেঞ্চুরির সংখ্যা আটটি। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি তারই। তার পরে আছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বের সেরা এই অলরাউন্ডারের সেঞ্চুরির সংখ্যা ৬টি। এরপর মুশফিকুর রহিম ও শাহরিয়ার নাফীস-দুজনের আছে চারটি করে ওয়ানডে সেঞ্চুরি।

শনিবার ইনিংসের তৃতীয় বলেই বাংলাদেশের হয়ে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১০ হাজার রানের মাইফলক স্পর্শ করেছিলেন তামিম ইকবাল। বিশ্বের ৫২তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজারী ক্লাবের সদস্য হলেন বাংলাদেশের এই ওপেনার।

তামিমের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাম্বুলায় সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানের বিপক্ষে করা দুটি সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি।

২০০৭ সালে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত তামিম ইকবাল খেলেছেন ১৬৩টি ম্যাচ। ১৬২ ইনিংসে তামিম তুলে নিয়েছেন আট সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৩৪টি হাফসেঞ্চুরি।

/আরআই/কেআর/