দিনের খেলা যদিও ৯ ওভার আগেই শেষ হয়ে যায় আলোর স্বল্পতার কারণে। তাতে অবশ্য চেস-ডরউইচের দুটো অসাধারণ ইনিংসের গুরুত্ব কমবে না এতটুকু। আমিরের বোলিং তোপে শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থা ছিল ভয়াবহ। একটা সময় ৭১ রানে ক্যারিবিয়ানরা হারিয়েছিল ৫ উইকেট, সেখান থেকে দলের হাল ধরে বিপর্যয় কাটান চেস-ডরউইচ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ধাক্কাটা দেন অবশ্য অভিষিক্ত পেসার মোহাম্মদ আব্বাস। এই পেসারের বলে কোনও রান করার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ক্রেইগ ব্রাথওয়েট। এরপরই শুরু আমিরের তাণ্ডব। অভিষিক্ত শিমরন হেটমারকে (১১) বোল্ড করে আমির খোলেন উইকেটের খাতা। খানিক পর আবারও বোল্ড করে তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরান শাই হোপকে (২)। আমিরের সঙ্গে উইকেট উৎসবে নাম লেখান ওয়াহাব রিয়াজও, ৯ রান করা বিশাল সিংকে আজহার আলীর হাতে ক্যাচ বানিয়ে। একপ্রান্ত থেকে উইকেট হারালেও ওপেনার কিয়েরন পাওয়েল চালিয়ে যাচ্ছিলেন লড়াই, যদিও তার প্রতিরোধের দেয়াল ভাঙেন সেই আমির। এই পেসারের বলে ইউনিস খানের হাতে ধরা পড়ার আগে পাওয়েল করেন ৩৩ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ৭১!
তাদের ফিরে যাওয়ার পর দেবেন্দ্র বিশুকে (২৩*) সঙ্গে নিয়ে দিন পার করে দিয়েছেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার (৩০*)। প্রথম দিনে পাকিস্তানের সেরা বোলার আমির ২৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ক্রিকইনফো
/কেআর/