মুম্বাইয়ের বিপক্ষে দিল্লির স্বস্তির হার

দিল্লির টপ অর্ডারে ধস নামিয়ে ম্যাকক্লেনাঘানের উল্লাসমুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ব্যাটিং ধসে নিশ্চিত হারের মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। তবে হারটা লজ্জার হতে গিয়েও হয়নি।

দক্ষিণ আফ্রিকান দুই তারকা ক্রিস মরিস ও কাগিসো রাবাদা ক্রিজে না দাঁড়ালে কী লজ্জাই না পেতে হতো দিল্লিকে! আইপিএলে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোরে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল লক্ষ্য তাড়া করতে নামা দলটি। তবে হেরেছে তারা স্বস্তিতে, ১৪৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ৭ উইকেটে ১২৮ রান করেছে দলটি।

জয়টা বড় ব্যবধানে পেতে পারত মুম্বাই। কিন্তু মরিস ও রাবাদার প্রায় শতরানের জুটিতে ব্যর্থ তারা। তাতে কী! আইপিএলের দশম আসরে হার দিয়ে শুরু করা মুম্বাই টানা ষষ্ঠ ম্যাচটি জিতেছে ১৪ রানে। আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৪২ রান করেছিল তারা। এ জয়ে ৭ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও শক্ত করল মুম্বাই।

ওয়াংখেড়েতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে সফল ছিল দিল্লি। গত কয়েকটি ম্যাচে দারুণ স্কোরবোর্ড তৈরি করা দলটিকে ১৪২ রানে বেধে দেওয়া খুব একটা খারাপ নয়। মুম্বাইয়ের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল জোশ বাটলারের, মাত্র ২৮ রানের। কিয়েরন পোলার্ড ২৬ ও হার্দিক পান্ডে ২৪ রান করেন। দিল্লির সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন অমিত মিশ্র ও প্যাট কামিন্স।

লক্ষ্যটা বড় না হলেও মিচেল ম্যাকক্লেনাঘানের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় দিল্লি। নিউজিল্যান্ডের এ পেসার তার প্রথম ২ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ভেঙে পড়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ২৪ রানের মধ্যে ৬ উইকেট খোঁয়ায় তারা। প্রথম ৬ ব্যাটসম্যানের কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। এর পর মুম্বাই বোলাররা মরিস-রাবাদা জুটির প্রতিরোধের মুখে পড়ে। হার এড়াতে না পারলেও তাদের ৯১ রানের জুটিতে দিল্লি ব্যাটিং লজ্জা কিছুটা কাটাতে সফল হয়। রাবাদা ৪৪ রানে আউট হলেও ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন মরিস।

মুম্বাইয়ের হয়ে ৪ ওভারে ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন ম্যাকক্লেনাঘান। ২ উইকেট পান জশপ্রীত বুমরাহ।

৬ ম্যাচে চতুর্থ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে দিল্লি। সূত্র- ক্রিকইনফো

/এফএইচএম/