ইংল্যান্ডে ১০ দিনের ক্যাম্পকে গুরুত্ব দিচ্ছেন সানজামুল

সানজামুল ইসলামশ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে নতুন মুখ ছিলেন সানজামুল ইসলাম। দুর্ভাগ্য যে ডাক পাননি তিনি একাদশে। তারপরও ইতিবাচক ছিলেন তিনি। আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি নিজের মতো করে ভরে নিয়েছেন ওই সফরে। সেগুলোই কাজে লাগাতে চান আগামী আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফরে। আরেকবার দলে ডাক পেয়েছেন তিনি। ত্রিদেশীয় সিরিজ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করার দৃঢ় প্রত্যয় সানজামুলের কণ্ঠে।

বর্তমানে আবাহনী লিমিটেডের জার্সিতে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলছেন সানজামুল। তিন ম্যাচ খেলে পারফরম্যান্স তেমন ভালো নয়, মাত্র ২টি ‍উইকেট। তবে নিজের ফর্ম নিয়ে হতাশ নন এ বাঁহাতি স্পিনার। বাংলাদেশ দুটি টুর্নামেন্টে মাঠে নামার আগে ১০ দিনের ক্যাম্প করবে সাসেক্সে, যেটাকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন সানজামুল, ‘এখানে তো ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছি। ওখানে গিয়ে তো আমাদের ১০ দিনের একটা ক্যাম্প হবে। সময়ও আছে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার।’

ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডে কন্ডিশন সম্পূর্ণ ভিন্ন। তবে প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট সানজামুল। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে পারাকে বিশেষ সুযোগ মনে করছেন তিনি, ‘দল ঘোষণা হয়েছে কয়েকদিন হলো। তবে পরিকল্পনা নিয়ে আমরা ২৬ তারিখ ইংল্যান্ডে যাওয়ার পর সব কিছু নিয়ে আলোচনা হবে।’ শ্রীলঙ্কা সফরে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করতে না পারার কোনও আক্ষেপ নেই এ বাঁহাতি স্পিনারের, ‘আসলে শ্রীলঙ্কায় টিম কম্বিনেশনের কারণে সুযোগ আসেনি। ওখানে ডাগ আউটে বসে ও দলের সঙ্গে অনুশীলন করে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জনের চেষ্টা করেছি। আর পরিবেশ কেমন থাকে জাতীয় দলে, এতদিন সেটা শুনেছি কিংবা টিভিতে দেখেছি। ওই সফরে সেটা অনুভব করতে পেরেছি। এটা আমাকে আগামীতে সাহায্য করবে।’

ইংল্যান্ডের সিমিং কন্ডিশনে স্পিন দিয়ে ভূমিকা রাখতে চান সানজামুল। শ্রীলঙ্কা সফরে কোচের সান্নিধ্য পেয়ে সেই আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন তিনি, ‘কোচ আমাকে নেটে বোলিং করাতেন, ব্যাটিংও। টুকটাক ভুলগুলো নিয়ে কথা বলতেন। এর বেশি কিছু না। কারণ প্রথম তিনি আমাকে দেখেছেন। আসলে এসব কন্ডিশনে সুবিধা হচ্ছে মনোযোগ বেশি থাকে। সিমিং কন্ডিশনে যদি স্পিনাররা ভালো করে তাহলে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়, যদিও এটা চ্যালেঞ্জিং। দুটি বড় বড় সিরিজের জন্য সুযোগ পেয়েছি। আশা করি সুযোগ পেলে ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।’

/আরআই/এফএইচএম/