এক নম্বর হয়ে সুপার লিগে লিটন

লিটন দাস (ফাইল ফটো)ঘরোয়া ক্রিকেটের জমজমাট আসর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রথম পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। এ পর্ব শেষে ব্যাটসম্যানদের  লড়াইয়ে এগিয়ে আবাহনীর লিটন দাস। তিনি ১০ ম্যাচ খেলেছেন, ২ সেঞ্চুরি ও ৩ হাফসেঞ্চুরিতে করেছেন ৫৭৮ রান। প্রথম পর্ব শেষে পাঁচ শীর্ষ ব্যাটসম্যানের পারফরম্যান্স তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য-

লিটন দাস (আবাহনী): আবাহনীর হয়ে খেলেই জাতীয় দলে সুযোগ করে নিয়েছিলেন উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাস। তবে জাতীয় দলে সময়টা ভালো কাটেনি তার। তাইতো বেশকিছু ম্যাচ সুযোগ পেয়ে আবার বাদ পড়েন জাতীয় দল থেকে। গত ঘরোয়া ক্রিকেটে ছন্দটা ঠিক না থাকলেও এবার ঢাকা লিগে শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন। ১০ ম্যাচে ৫৭.৮০ গড়ে সংগ্রহ করেছেন ৫৭৮ রান। ২টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি পেয়েছেন তিনটি হাফসেঞ্চুরি।

নাঈম ইসলাম (লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ): জাতীয় দল থেকে বেশ কয়েক বছর ধরেই উপেক্ষিত তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান পেলেও নির্বাচকরা যেন তাকে দেখেনই না! তবুও তার রান করা থেমে নেই। ঢাকা লিগের এই আসরেও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের বোলারদের শাসন করেছেন তিনি। ১০ ম্যাচে ৬৫.৮৭ গড়ে ২ সেঞ্চুরি ও ২ হাফসেঞ্চুরিতে ৫২৭ রান করেছেন নাঈম, এটা লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান।

জুনায়েদ সিদ্দিকী (ব্রাদার্স ইউনিয়ন): জাতীয় দলের এক সময়কার ওপেনিং ব্যাটসম্যান ছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। চলতি মৌসুমে ব্রাদার্সের হয়ে খেলা জুনায়েদ ৪৯০ রান করে লিগের তৃতীয় শীর্ষ ব্যাটসম্যান। ১১ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুটি হাফসেঞ্চুরিতে তিনি ৪৯০ রান করেছেন।

এনামুল হক বিজয় (গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স): ঢাকা লিগের এই মৌসুমটা আরও ভালো কাটতে পারতো এনামুলের। ৯০ এর ঘরে গিয়ে দুইবার আউট না হলে তার নামের পাশে দুটি সেঞ্চুরি থাকতো। এনামুলের এই আক্ষেপটা দূর করার সুযোগ সুপার লিগের পাঁচ ম্যাচে। ১১ ম্যাচে ৪২.০৯ গড়ে ৫ হাফসেঞ্চুরিতে তিনি করেছেন ৪৬৩ রান।

রবিউল ইসলাম রবি (খেলাঘর) : প্রথম বিভাগ থেকে উঠে আসা দল খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। এই দলের হয়ে ব্যাট হাতে কারিশমা দেখিয়েছেন রবিউল ইসলাম রবি। ১১ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও দুই হাফসেঞ্চুরিতে ৪৫৭ রান করেছেন আলোর বাইরে থাকা এই ব্যাটসম্যান।

/আরআই/এফএইচএম/