সাবেক ক্লাব চেন্নাই সুপার কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সকে টপকে রেকর্ড তিনবার শিরোপা হাতে নিয়েছে মুম্বাই। ২০১৩ ও ২০১৫ সালের পর আরেকবার সবার সেরা হলো তারা।
অবশ্য শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটা খুব সহজ হয়নি মুম্বাইয়ের জন্য। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। জয়দেব উনাদকাটের জোড়া আঘাতে শুরুতেই হোঁচট খায় মুম্বাই। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে পার্থিব প্যাটেল (৪) ও লেন্ডল সিমন্সকে (৩) ফেরান পুনের এ বোলার। মাঝে অ্যাডাম জাম্পা এক ওভারে তুলে নেন রোহিত শর্মা (২৪) ও কিয়েরন পোলার্ডের (৭) গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এ দুটি ধাক্কায় ৮ উইকেটে ১২৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি মুম্বাই।
অথচ আজিঙ্কা রাহানে ও স্মিথের ব্যাটে শিরোপার সুবাস পাচ্ছিল পুনে। কিন্তু সব বদলে যায় ১৬.২ ওভারে মহেন্দ্র সিং ধোনির আউটের পর। তার আগে রাহানে ৩৮ বলে ৪৪ রান করে জয়ের আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ধোনি মাত্র ১০ রানে যশপ্রীত বুমরার শিকার হলে পিছিয়ে পড়ে পুনে। তখনই মূলত ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।
শেষ ৩ বলে ৭ রান দরকার ছিল পুনের। চতুর্থ বলে বাই থেকে একটি রান নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। পঞ্চম বলে হার্দিক ক্যাচ ফেলে দিলে ক্রিস্টিয়ান দৌড়ে নেন দুটি রান। শেষ বলে ৪ রান দরকার, শর্ট লেন্থে ইয়র্কার দেন জনসন। ডিপ স্কয়ার হয়ে বল ডিপ মিডউইকেটে গেলে বেশ সময় পান ক্রিস্টিয়ান। কিন্তু ২টি রান নেওয়ার রান আউট হতে হয় তাকে। ততোক্ষণে মুম্বাইয়ের খেলোয়াড়রা আনন্দে মাতোয়ারা। শিরোপা জয়ের উৎসবে মেতেছে মুম্বাইয়ের গ্যালারি।
২০ ওভারে ৬ উইকেটে পুনে করে ১২৮ রান। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া জনসনকেই বলা যেতে পারে ম্যাচের নায়ক।
/এফএইচএম/