‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য সব রসদই যোগান দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ’

Habibul_Bashar_1২০০৯ ও ২০১৩ সংস্করণে না থাকলেও ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যোগ্যতা দিয়েই জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। আর সেই বাংলাদেশকে নিয়েই আইসিসির ওয়েব সাইটে লেখা এক কলামে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার। তিনি লিখেছেন, ‘২০০৯ ও ২০১৩ সালের পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা পাওয়াতে আমি সত্যিই উচ্ছসিত। বলতে গেলে এর অনুভূতি অসাধারণ। এই টুর্নামেন্টে আমাদের সেরকম কোনও ফল না থাকলেও আমাদের দীর্ঘ ইতিহাস জড়িয়ে আছে এর সঙ্গেই।’

শুরুর দিকেই তিনি টেনে আনে প্রথম আসরের কথা। যেই আসরের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ, ‘গর্বের সঙ্গেই বলতে পারি ১৯৯৮ সালে এর আয়োজক ছিলাম আমরাই। তখন এর নাম ছিল-আইসিসি নকআউট ট্রফি। এমনকি ওই আসরে আমরা এতে খেলার সুযোগই পাইনি। বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের স্পটলাইটে আসার মতো সুযোগ এটাই ছিল প্রথমবারের মতো। তখন যেই উন্মাদনার ঢেউ বাংলাদেশের মানুষদের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল; তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’

প্রথম বারের মতো বাংলাদেশের খেলার সুযোগ আসে দ্বিতীয় সংস্করণে। তখনকার অভিজ্ঞতা লিখতে গিয়ে বাশার লিখেছেন, ‘আমাদের দ্বিতীয় সংস্করণেই আসে আসল সুযোগ। নাইরোবিতে ২০০০ সালে ইংল্যান্ডের কাছেই ৮ উইকেটে বিশাল হার দিয়ে শুরু। এবারই প্রথম আমরা বড় ক্রিকেটারদের সঙ্গে হোটেলে একই সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাই। তাদের সঙ্গে সবধরনের অভিজ্ঞতা আদান প্রদানের সুযোগ পাই। বলতে গেলে ওই সময়টাই ছিল আমাদের প্রথমবারের মতো চোখ মেলে দেখার সুবর্ণ সুযোগ। আমি সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে চাই- আমাদের ক্রিকেট যে এই পর্যায়ে এসেছে তার প্রেরণা কিন্তু এসেছে এসব জায়গা থেকেই।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘২০০২ ও ২০০৪ সালে দেশে খালি হাতে ফিরলেও আমাদের অভিজ্ঞতার ভাঁড়ার ছিল সমৃদ্ধ। আর ২০০৬ সালে বাছাই পর্ব পার হয়েই আমাদের আসতে হয়। শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারলেও আমরা প্রথম জয়টা পাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই।’

বিগত বারের চেয়ে এবারের মিশনটা ভিন্ন। ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শক্তি হয়ে উঠা বাংলাদেশকে নিয়ে এভাবেই দেখছেন বাশার, ‘বাংলাদেশ আগে দুই সংস্করণ মিস করলেও বাংলাদেশ কিন্তু গর্ব করতেই পারে যে তারা এই সংস্করণে  যোগ্যতার বিচারেই জায়গা পেয়েছে। বর্তমানে ওয়ানডে র‌্যাংকিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে। এমনকি গত দুই বছরে আমাদের অসাধারণ সব সাফল্য রয়েছে। ঘরের মাঠেই জিতেছিল ৫টি ওয়ানডে সিরিজ- পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলোকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাই এখান থেকেই আত্মবিশ্বাস ও প্রেরণা কাজ করছে, আমি মনে করি আমরা দেশের বাইরে কিছু করে দেখাতে ভালোভাবেই প্রস্তুত আছি।’

তিনি মনে করেন, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য বাংলাদেশ সব রসদই যোগান দিয়ে রেখেছে। যদিও সহজ হবে না। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বলে কথা। ’

 / এফআইআর/