শুরুটা ১৯৯৮ সালে। আইসিসি নকআউট ট্রফি নামে শুরু করা প্রতিযোগিতাটি পরবর্তী সময়ে রঙ-রূপ যোগ করে এখনকার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। জুনে উঠবে অষ্টম আসরের পর্দা। আগের সাত আসর কেমন ছিল, কার ঘরে উঠেছিল ‘মিনি বিশ্বকাপ’ খ্যাত এ প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠত্ব- ইংল্যান্ডের আসর শুরুর আগে ফিরে দেখা যাক একবার। ‘বাংলা ট্রিবিউন’-এর এই বিশেষ আয়োজনের চতুর্থ পর্বে থাকছে ২০০৪ সালের প্রতিযোগিতা-
আইসিসির নতুন আয়োজন ‘নকআউট ট্রফি’র প্রথম আসরে ফাইনালে উঠেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে শিরোপা থেকে যায় অধরা। পরের দুই আসরে প্রথম পর্বে বিদায় নেওয়া উইন্ডিজ চতুর্থ আসরেও ছিল ‘আন্ডারডগ’। কিন্তু ১২ দলের প্রতিযোগিতার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মেতে ওঠে ব্রায়ান লারার দল।
নতুন অতিথি ও সমালোচনা- ১০ টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে আগের মতোই যোগ দিয়েছিল ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়া কেনিয়া। তবে ২০০২ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নতুন অতিথি নেদারল্যান্ডসের জায়গা হয়নি চতুর্থ আসরে। ২০০৪ সালের আইসিসি সিক্স নেশন্স চ্যালেঞ্জ জেতা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল এ টুর্নামেন্টে। দলটি নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কঠিন গ্রুপে পড়েছিল। ফলাফল- অসহায় আত্মসমর্পণ। কিউইদের কাছে ২১০ রানে হারের পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে মার্কিনিরা বিধ্বস্ত হয় ৯ উইকেটে। এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলে ক্ষুব্ধ অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক রিকি পন্টিং খোলাখুলিই বলেছিলেন, ‘এমন টুর্নামেন্টে যুক্তরাষ্ট্রের খেলার কোনও মানেই হয় না!’
বাংলাদেশ বধে শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজের যাত্রা- ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশের। ‘বি’ গ্রুপে তাদের অন্য প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশকে ১৩৮ রানে ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল উইন্ডিজ।
সেমিফাইনালেও অপ্রতিরোধ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ- গ্রুপ পর্বের মতো সেমিফাইনালেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল ক্যারিবীয়দের। পাকিস্তানকে মাত্র ১৩১ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছিল তারা।
তবু ম্যাচটা জিততে পারত ইংল্যান্ড। কিন্তু ১৪৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন কোর্টনি ব্রাউন (৩৫*) ও ইয়ান ব্র্যাড শ’ (৩৪*)। দুজনের ৭১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ২ উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়ে যায় ক্যারিবীয়রা।
সেরা ও সর্বোচ্চ- টুর্নামেন্টে দলীয় সর্বোচ্চ রান ছিল নিউজিল্যান্ডের, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩৪৭ রান।
সবচেয়ে বেশি রান করেন ট্রেসকোথিক, ফাইনালের সেঞ্চুরি ও দুটি হাফসেঞ্চুরিসহ ৪ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ২৬১ রান।
সেরা ইনিংস ছিল নিউজিল্যান্ডের ওপেনার নাথান অ্যাস্টলের, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে অপরাজিত ১৪৫ রান।
সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির মর্যাদা পেয়েছিলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। ইংল্যান্ডের এ পেসার ৪ ম্যাচে নেন ৯ উইকেট।
আর সেরা বোলিং ছিল পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির, কেনিয়ার বিপক্ষে মাত্র ১১ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট।
এএআর/